প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৫
গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কমপক্ষে ৮৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪৯২ জন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, রবিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বহু স্থানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে অনেকে খাদ্য সংগ্রহের সময় নির্বিচারে গুলির শিকার হয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত ৮৬ জনের মধ্যে ৫৮ জন সরাসরি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে প্রাণ হারান। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ ও খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর গাজাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকৃত নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন। উদ্ধারকাজে সরঞ্জাম ও লোকবল সংকট থাকায় তাদের জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
সাম্প্রতিক এই হামলার ফলে গাজার হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অনেক হাসপাতাল আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব ও ওষুধ সংকটের কারণে বিপুল সংখ্যক আহতকে সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং প্রায় আড়াই শতাধিককে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনার পর থেকে টানা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ সংঘাতের কারণে গাজার মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক মহল বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো সমাধান আসেনি।
গাজায় সাধারণ মানুষ আশ্রয় ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন করে প্রাণহানি ঘটছে। ফিলিস্তিনিদের দাবি, অবরোধ ও হামলা বন্ধ না হলে মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হবে।