প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৩
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অধিকৃত পশ্চিম তীরকে পুরোপুরিভাবে দেশের মানচিত্রে যুক্ত করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন এবং সেই লক্ষ্যে তৎপরতা চালাচ্ছেন। এই পদক্ষেপকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তীব্র হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার সৌদি আরব স্পষ্টভাবে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, যদি তেল আবিব পশ্চিম তীর দখলের চেষ্টা চালায়, তবে দেশের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কের সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। এর ফলে আব্রাহাম চুক্তির ভবিষ্যতও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। সূত্র জানায়, সৌদি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পশ্চিম তীর দখলকে ‘রেড লাইন’ হিসেবে দেখছেন এবং তেল আবিবকে সতর্ক করছেন।
ইসরায়েল ২৩ মাস ধরে গাজায় হামাস উৎখাত এবং জিম্মি মুক্তির নামে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এই গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সমর্থন পেয়েছে, যা নেতানিয়াহুকে আরও বেপরোয়া করেছে। সাম্প্রতিক হামলা ও গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনায় সেনাবাহিনী আরও তীব্রতা বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম তীর সংযুক্ত করার পরিকল্পনাও প্রকাশ্যে এসেছে।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখলের দিকে এগোয়, তবে আব্রাহাম চুক্তি অনুসারে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন আর সম্ভব হবে না। এই পদক্ষেপ সৌদি–ইসরায়েল সম্পর্কের জন্যও স্থায়ী ক্ষতি ঘটাবে।
পূর্বের সতর্কবার্তায় সংযুক্ত আরব আমিরাতও পশ্চিম তীর দখলকে চুক্তিভঙ্গ হিসেবে দেখেছে। তাদের দাবি, আব্রাহাম চুক্তির মূল শর্ত হল পশ্চিম তীরের দখল থেকে সরে আসা। ইসরায়েল যদি দখলদার মনোভাব বজায় রাখে, তবে চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিম তীর সংযুক্ত করার চেষ্টা শুধু আব্রাহাম চুক্তি ভঙ্গ করবে না, বরং সৌদি ও সংযুক্ত আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্কও চিরতরে স্থগিত হয়ে যাবে। ফলে এই পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার জন্য আন্তর্জাতিক চাপও বাড়ছে।
বিশ্বমঞ্চে এ ধরনের পদক্ষেপ ইসরায়েলের অবস্থান আরও সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সৌদি ও সংযুক্ত আরবের সতর্ক বার্তাকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।