প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৮
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় সক্রিয় মাদক চক্রের উপর সম্ভাব্য হামলার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এই প্রেক্ষাপটে তিনি পুয়ের্তো রিকোতে এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, পুয়ের্তো রিকোর বিমানঘাঁটিতে অন্তত ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন মাদক পাচারকারী গোষ্ঠীগুলোর ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করছে, যা বাস্তবায়িত হলে কারাকাস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নাটকীয়ভাবে বাড়বে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এই সম্ভাব্য হুমকির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় সহিংসভাবে সরকার পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। মাদুরো বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব, শান্তি এবং স্বাধীনতা সম্মান করতে হবে।
মাদুরো তবে আলোচনা ও সংলাপের পথ খোলা রাখার বার্তাও দিয়েছেন। তিনি ট্রাম্পকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, এমন কোনো মতপার্থক্য নেই যা সামরিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেছেন, ভেনেজুয়েলা সবসময় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে আগ্রহী।
হুমকির প্রেক্ষিতে মাদুরো ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, যদি আক্রমণ হয়, তা সশস্ত্র সংগ্রামের পর্যায়ে দ্রুত প্রবেশ করবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার সরকার পরিবর্তনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো পদক্ষেপ বা ঘোষণা দেয়নি। তবে দেশটির অস্বাভাবিক নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি তারা উদ্বিগ্ন।
ট্রাম্প মূলত ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। ওই নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হন মাদুরো। পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশ এই নির্বাচনকে অবৈধ বলে গণ্য করেছে।
উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লেও, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলেছেন যে সংলাপ এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এখনও পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি, এ ঘটনা ল্যাটিন আমেরিকার রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।