প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৭
গাজা সিটি দখলের মিশনে ইসরাইলি বাহিনী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত চলছে বোমাবর্ষণ ও স্থল অভিযান। শনিবার একদিনেই প্রাণ হারিয়েছে আরও ৬৭ ফিলিস্তিনি, ধ্বংস হয়েছে একটি বহুতল ভবন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টিকে থাকা কিছু ভবনকেই নিশানা করছে ইসরাইলি বাহিনী। সর্বশেষ ১৫তলা বিশিষ্ট সুসি টাওয়ার গুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ভবনটির ঠিক বিপরীতেই ছিল জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ-র কার্যালয়।
এদিকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই সেখানে বোমা ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিমান হামলার পাশাপাশি পদাতিক বাহিনীও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। দেইর আল বালাহ, খান ইউনিসসহ গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও একইভাবে আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের কারণে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৪৩৫ জন নিহত এবং এক লাখ ৬২ হাজার ৩৬৭ জন আহত হয়েছেন। হাজারো মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ এক্স প্ল্যাটফর্মে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে গাজা সিটির একটি উঁচু ভবন ধসে পড়ার দৃশ্য দেখা যায়। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।”
ইসরাইলি বাহিনী দাবি করেছে, ওই ভবনটি হামাস নজরদারির কাজে ব্যবহার করত। তবে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। হামাসও এ দাবি অস্বীকার করেছে। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে এসব হামলার বৈধতা নিয়ে।
গাজায় লাগাতার হামলা ও সহায়তার অপেক্ষায় থাকা সাধারণ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা পরিস্থিতিকে মানবিক বিপর্যয় আখ্যা দিয়ে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও মানবিক করিডোর খোলার দাবি জানিয়েছে।
তবে ইসরাইল তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজা সিটিতে সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং তা শিগগিরই বন্ধ হবে না। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে।