অস্ত্র মামলায় আলোচিত রেজাউল পাঠানসহ ৩ জনের কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
আতিকুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: রবিবার ৩০শে এপ্রিল ২০২৩ ০৬:০৪ অপরাহ্ন
অস্ত্র মামলায় আলোচিত রেজাউল পাঠানসহ ৩ জনের কারাদন্ড

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের আলোচিত রেজাউল পাঠানসহ তিন জনকে অস্ত্র আইনে ২৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রোববার ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ মো: নাজিমুদ্দৌলা এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। 


দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন কোটচাঁদপুর শহরের আদর্শপাড়ার মোমিন পাঠানের ছেলে মো: রেজাউল ইসলাম পাঠান, কালীগঞ্জ উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে মিলন ও চুয়াডাঙ্গাার জীবননগর উপজেলার কন্দবপুর গ্রামের নিয়ামত মল্লিকের ছেলে মধু মল্লিক। 


আদালতের পিপি এডভোকেট ইসমাইল হোসেন জানান, ২০১৬ সালের ২৭ জুন রাতে র্যা ব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে আসামী রেজাউল ইসলাম পাঠানের কোটচাঁদপুর শহরের আদর্শপাড়ার বাড়িতে কয়েকজন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী অস্ত্র সহ অবস্থান করছে। ওই রাতেই র্যা বের একটি দল রেজাউল ইসলাম পাঠানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১টি রিভালবার, ৪০ রাউন্ড গুলি ৫টি দেশীয় অস্ত্র একসেট পুলিশের পোশাক ১টি ছোরা ও ১টি কুড়াল উদ্ধার করে। 


সেসময় র্যা ব আসামীদের হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় র্যা ব বাদি হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১ আগস্ট আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। 


আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তেতে দোষি প্রমানিত হওয়ায় অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় আসামীদের প্রত্যেককে ২৪ বছর কারাদন্ড প্রদান করেন। মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম জামিন নিয়ে পাঠান পলাতক রয়েছে। 


আইনশৃংখলা বাহিনীর একটি সুত্র জানায়, রেজাউল পাঠান দক্ষিনাঞ্চল পশ্চিমাঞ্চলের সোনা, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান সিন্ডিকেটের গডফাদার হিসেবে পরিচিতি। ধীর্ঘদিন ধরে তিনি এ কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে নিজেই পুলিশের পোশাক পরে অভিযান পরিচালনা করতো বলে র্যা বের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছিলেন। ফলে বছরের পর বছর রেজাউল দালাল মুকুটহীন ভাবে রমরমা পরিবেশে চোরাচালান ব্যবসা করে আসলেও তিনি ছিলেন আইনের উর্ধ্বে।


 অল্প দিনে তার কোটিপতি হওয়ার পেছনে রয়েছে চমকে দেওয়ার মতো সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর এ সব করতেন তিনি র্যা ব ও পুলিশেরে সোর্স পরিচয় দিয়ে। ফলে ভয়ে এলাকার কেও মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। কেও প্রতিবাদ করলেই তাকে ফেনসিডিল দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হতো।