আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রবাসীদের জন্যও ভোটের সুযোগ নিশ্চিতের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার

বহুল প্রতীক্ষিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ভাষণে তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে যাতে করে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়। তিনি চান রমজান শুরু হওয়ার আগেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হোক।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “সব নাগরিক যেন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজে অংশ নিতে পারে, সে লক্ষ্যেই আমরা নির্বাচন আয়োজন করছি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন সুন্দরভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়।”

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এবারের নির্বাচন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় নির্বাচনে পরিণত হবে। এ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

ভোটারদের উৎসাহিত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, “আমরা চাই এবারের নির্বাচন আনন্দ-উৎসবে পরিণত হোক। সব কেন্দ্রেই ভোটারদের অংশগ্রহণ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং সামাজিক সৌহার্দ্য থাকবে।”

প্রবাসীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। এবার আমরা তাদের ভোটের সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই।”

নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিয়েও আলাদাভাবে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “নারীরা যেন কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ও উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিতে পারে, আমরা সে ব্যবস্থা করব।”

ভাষণে তিনি বিগত ১৫ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত মানুষের কথা তুলে ধরে বলেন, “অনেকেই জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছেন। এবারের নির্বাচন সেইসব ভোটারদের জন্য বিশেষ কিছু হয়ে থাকবে।”

সবশেষে তিনি বলেন, “আগামীকাল থেকেই নির্বাচনের মানসিক প্রস্তুতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এই নির্বাচন যেন আমাদের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”