প্রকাশ: ৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯:২৩
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) এক বিজয়ী পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিশেষ এক অনুষ্ঠান। বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া এই আয়োজনে জাতির পক্ষ থেকে এক ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঘোষণায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া সকল ছাত্র-জনতাকে জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করছে। একইসঙ্গে আহত যোদ্ধা ও আন্দোলনকারীদের আইনি সুরক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদার আওতায় আনার ঘোষণা দেন তিনি। ঘোষণাপত্রের ২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সরকার শহীদ পরিবারের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এতে তাদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও শিক্ষা সুবিধাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় বীর হিসেবে শহীদদের স্বীকৃতি দেওয়া শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি একটি নৈতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব। যারা দেশের জন্য রক্ত দিয়েছেন, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এই স্বীকৃতি প্রথম ধাপ। তিনি জানান, আইনি সুরক্ষার আওতায় আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে পূর্বে করা সব মামলা পুনর্মূল্যায়ন করে বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে শহীদদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্মারক নির্মাণ ও ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, যারা একমত পোষণ করেন যে এই সিদ্ধান্ত দেশের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বক্তারা বলেন, এই ঘোষণা নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে এবং একটি সাম্য, ন্যায় ও গণতন্ত্রভিত্তিক বাংলাদেশের পথে সাহস জোগাবে।
উল্লেখ্য, গত বছর জুলাইয়ে সংঘটিত ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক বড় পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বহু তরুণ শহীদ হন, যাঁদের আত্মত্যাগ আজ জাতীয় পর্যায়ে গৌরবের স্থান পেল। এই ঘোষণা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গর্বিত সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।