শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে দেশ গঠনে অংশ নিতে হবে

কক্সবাজার সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল করিম বলেছেন, শুধু শিক্ষিত মানুষ হলে হবে না। শিক্ষিত মানুষ হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে দেশ গঠনের কাজে অংশ নিতে হবে। পরীক্ষার জন্য পড়ালেখা না করে মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ার জন্য পড়তে হবে। তাহলেই সফলতা আসবে। কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে ছাত্রদের সংগঠন ‘প্রত্যাশা’র আয়োজনে বিশাল গুণীজন ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলের একটা দুর্নাম আছে। তা হলো মাদক। মাদকের এ দুর্নাম ঘুচাতে শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তারা জনসচেতনতা মূলক কাজ করে সাধারন জনগনকে মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতন করা যায়।

তিনি বলেন, আমরা অভিভাবকরা সন্তানদের ভালো ফলাফলের পেছনে ছুটি। কিন্তু তাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ার পেছনে কাজ করি না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে না উঠলে সোনার বাংলা বিনির্মাণ হবে না। তাই অভিভাবকদের সচেতন হয়ে সন্তানদের মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যাশার সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য ইব্রাহিম মোহাম্মদ হিময়ের পরিচালনায় সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুনদের সহযোগিতা চেয়েছেন। তাই তরুন শিক্ষিত সমাজই এদেশকে এগিয়ে নিবে।তিনি বলেন, গুণীজনকে সম্মান দিলে এলাকায় গুণীজন জন্ম নেয়। তাই তরুন সমাজের এ উদ্যোগ স্বাগত পাওয়ায় দাবিরাখে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সরকারী কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ উল্লাহ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের মেডিকেল অফিসার ডা. এ হোসাইন সুমন, চট্টগ্রাম জজকোর্টের আইনজীবি এড. ছমি উদ্দিন, কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বখতিয়ার আহমদ মেম্বার, কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ মান্নান, উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক খান, কক্সবাজার সরকারী কলেজের প্রভাষক ওবায়দুল হক, চাকবৈঠা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ বড়ুয়া, প্রত্যাশার প্রধান উপদেষ্টা হেলাল উদ্দিন, চকরিয়া জজ কোর্টের কর্মকর্তা মাহমুদুল হক মামুন প্রমূখ। পরে কুতুপালং গ্রামের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাবিদ, সরকারী কর্মকর্তাসহ কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।