ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনের বাজেট নিয়ে আমাদের কোনো সংকট নেই। প্রয়োজনীয় অর্থ যথাসময়ে দেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন যে ব্যয়প্রবণ পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে, তাও অর্থ মন্ত্রণালয় গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর একদিন আগেই, মঙ্গলবার, জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানিয়ে দেন প্রধান উপদেষ্টা। ভাষণে বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে।
অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও নির্বাচন আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন সালেহউদ্দিন। তার মতে, “ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন অত্যাবশ্যক।”
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ব্যবস্থার কিছুটা পরিবর্তনের প্রসঙ্গও বৈঠকে উঠে আসে। অর্থ উপদেষ্টা জানান, “যুক্তরাষ্ট্র যেটুকু শুল্ক কমিয়েছে তা মোটামুটি হলেও, আমরা আরও নমনীয়তা আশা করেছিলাম। বিশ্ব পরিস্থিতি এখনো চ্যালেঞ্জিং হলেও বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে।”
তিনি বলেন, “বিশেষ করে পোশাক ও নিট পোশাক খাত দ্রুত এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। তবে উইভিং বা বোনায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে।”
এছাড়া, ইউএস চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার কথাও জানান অর্থ উপদেষ্টা। তার মতে, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দায়িত্বশীলতা দেখে মার্কিন সংস্থাগুলোর আস্থা বেড়েছে। শেভরন ও মেটলাইফের মতো সংস্থাগুলো অর্থ ছাড় করেছে।”
শুল্ক বিষয়ে চুক্তি এখনও চূড়ান্ত না হলেও, উভয় পক্ষ নিবিড়ভাবে দর-কষাকষি করছে বলে জানান তিনি। “এটি কোনও বহুপাক্ষিক আলোচনার বিষয় নয়। তাই সব তথ্য প্রকাশযোগ্য নয়।”