মোহনগঞ্জে বিএনপির আহবায়কসহ আটক ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
এ কে এম আব্দুল্লাহ, জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
প্রকাশিত: শুক্রবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
মোহনগঞ্জে বিএনপির আহবায়কসহ আটক ৬

নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্নায়েল ও সদস্য সচিব টিপু সুলতানসহ ছয় জন বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়েছে। 


      বৃহস্পতিবার রাতে মোহনগঞ্জ উপজেলা সদরের টেংগাপাড়া এলাকায় বিএনপি’র অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়ে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি সভা চলাকালে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। আটক হওয়া অন্য নেতারা হলেন, বড়কাশিয়া-বিড়ামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান।


      বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীণে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ময়মনসিংহে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি। উক্ত সমাবেশ সফল করতে মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপি বৃহস্পতিবার রাত সাতটার দিকে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করছিল। এ সময় পুলিশ সেখানে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্নায়েল ও সদস্য সচিব টিপু সুলতানসহ ছয় জন বিএনপি নেতাকে আটক করে। 


        এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বিশিষ্ট অর্থোপেডিক চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল হক বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি’র চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশকে দিয়ে হামলা, মামলা, গ্রেফতার করে আতংক সৃষ্টি করছে। তিনি হুসিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, মামলা গ্রেফতার করে বিএনপির আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। তিনি অবিলম্বে আটক নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। 


       এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের  মুখপত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিএনপির ৬ নেতাকে আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, আটক হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীরা নাশকতা করার পরিকল্পনা করছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ তাদের আটক করে। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ নেতাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে আটককৃত নেতাকর্মীদেরকে আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।