গোয়ালন্দে ২১ এপ্রিল সম্মুখযুদ্ধ ও প্রতিরোধ দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২১শে এপ্রিল ২০২২ ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
গোয়ালন্দে ২১ এপ্রিল সম্মুখযুদ্ধ ও প্রতিরোধ দিবস পালিত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সম্মুখযুদ্ধ ও প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে নির্মিত ‘গোয়ালন্দ সম্মুখ যুদ্ধ ও প্রতিরোধ স্মৃতি মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্য’ স্থানে দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে ভাষ্কর্য নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী জুয়েল বাহাদুর এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার। 


বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা আক্তারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মন্ডল, প্যানেল মেয়র নাসির উদ্দিন, এফকে টেকনিক্যাল এন্ড বিএম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফকীর আব্দুল কাদের, রাজবাড়ী প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং স্কুলের ইনষ্ট্রাক্টর মফিজুল ইসলাম, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদ রায়হান, স্থানীয় ইউপি সদস্য ফাতেমা আক্তার প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে দিবসটি সমাপ্ত হয়। 


১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নদী বন্দরখ্যাত পদ্মা পারের গোয়ালন্দ আক্রমন করে। মানিকগঞ্জের আরিচাঘাট থেকে মেশিনগান, মর্টারসহ ভারি যুদ্ধাস্ত্র বোঝাই একটি গানবোট ও একটি কে-টাইপ ফেরিতে নদীপার হয়ে হানাদাররা এসে নামে গোয়ালন্দের উজানচর ইউনিয়নের কামারডাঙ্গি নামক এলাকায়। সেখানে স্থানীয় জনতার সহায়তায় ইপিআর, আনছার ও মুক্তিবাহিনীর একটি দল হালকা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তারা প্রতিরোধ সৃষ্টি করেন। উজানচরের বাহাদুরপুর গ্রামে পাক বাহিনীর সাথে মুক্তিকামী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ ও প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন ফকীর মহিউদ্দিন আনসারসহ কয়েকজন। সেই থেকে ২১ এপ্রিল গোয়ালন্দ গণহত্যা দিবস পালিত হয়ে আসছে। 


নির্মিত ভাষ্কর্য নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী জুয়েল বাহাদুর বলেন, করোনার কারণে আমরা গত বছর কোন কর্মসূচি পালন করতে পারিনি। পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় এ বছর আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।