আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারে সিডা নামক একটি প্রতিষ্ঠান স্নাতক পাসের অফিসার নিয়োগের নামে প্রতারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি নিয়োগের জন্য জনপ্রতি ১,৮২০ টাকা জামানত নিয়েছে, যার মধ্যে ৩২০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এবং ১,৫০০ টাকা ক্যাশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। একদিনেই তিন উপজেলায় ৩০৯টি আবেদন জমা পড়েছে, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি সংগ্রহ করেছে ৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৮০ টাকা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধহাটা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মো. সালাউদ্দিনের বাড়ির দোতলায় সিডা এনজিও অফিসে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শেখ মিঠুন আলী, যিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী এবং অষ্টম শ্রেণি পাস, তিনি স্নাতক পাসের নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন। এমনকি, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে যে, ওয়াশরুম নির্মাণ প্রকল্পের কথা বলে বিভিন্ন এলাকার অসহায় মানুষের কাছ থেকে ২৩ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় জনগণ ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফিরোজ আহমেদ থানায় এবং সেনা ক্যাম্পে বিষয়টি জানান। পরে সেনা ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাদীদ রায়হানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সিডার অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালককে সকল বৈধ কাগজপত্র ২৩ মার্চের মধ্যে সেনা ক্যাম্প ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেনা ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাদীদ রায়হান জানিয়েছেন, কাগজপত্র সঠিক থাকলে প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আশাশুনি প্রেস ক্লাবের সাংগাঠনিক সম্পাদক প্রভাষক শেখ আশিকুর রহমান আশিক বলেন, সিডার পরিচালক পূর্বেও চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছেন এবং একটি সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় জানিয়েছেন, সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে কাগজপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। কাগজপত্র সঠিক না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।