এক ফুল দুই মালি, অতঃপর সাতপাকে ...

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ২২শে এপ্রিল ২০২২ ০৪:২৬ অপরাহ্ন
এক ফুল দুই মালি, অতঃপর সাতপাকে ...

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দুই প্রেমিকাকে পাশাপাশি বসিয়ে বিয়ে করেছেন রোহিনী চন্দ্র বর্মন (২৫) নামে এক যুবক৷ একই সঙ্গে দুই বউকে ঘরেও তুলেছেন তিনি। একসঙ্গে দুই প্রেমিকাকে বিয়ের ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।  


গতকাল বুধবার (২০ এপ্রিল) আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার এলাকার রোহিনী চন্দ্র বর্মন নিজ বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে একসঙ্গে ইতি রানী (২০) ও মমতা রানীকে (২১) বিয়ে করেছেন। 


জানা গেছে, রোহিনী চন্দ্র বর্মন আটোয়ারী উপজেলাধীন লক্ষ্মীদ্বার এলাকার যামিনী চন্দ্র বর্মনের ছেলে। ইতি রানী একই ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে। আর মমতা রানীর বাড়ি একই ইউনিয়নের উত্তর লক্ষ্মীদ্বার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার টোনো কিশোর রায়ের মেয়ে।


স্থানীয়রা জানান, বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার ইতি রানীর সঙ্গে রোহিনী চন্দ্রের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। একপর্যায়ে তারা মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন। বিয়ের বিষয়টি  তারা দুজনেই গোপন রেখেছিলেন। এর মধ্যে রোহিনী চন্দ্র নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন লক্ষ্মীদ্বার এলাকার মমতা রানীর সঙ্গে। প্রেমের সূত্রে মমতার সঙ্গে গত ১২ এপ্রিল রাতে দেখা করতে যান রোহিনী চন্দ্র। সেখানে দুজনকে এক সঙ্গে দেখে ফেলেন মমতার পরিবারের লোকজন। 


পরে রোহিনীকে আটকে রাখেন তারা। পরদিন ১৩ এপ্রিল তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। রোহিনীর বিয়ের খবর শুনে তার বাড়িতে অনশন শুরু করেন আগের প্রেমিকা ইতি রানী। পরে গতকাল বুধবার রাতে রোহিনীর বাড়িতে পুনরায় একসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয় এবং দুই বউকে একসঙ্গে ঘরে তুলে নেন রোহিনী। 


এ বিষয়ে রোহিনী চন্দ্র বর্মনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে কথা বলতে চাইলেও তিনি ফোন কেটে দেন। 


এ বিষয়ে রোহিনীর বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মন বলেন, দুইজনকে একসঙ্গে ঘরে তুলতে আমাদের আপত্তি ছিল না। তবে আগের বিয়েগুলোর বিষয়ে যেহেতু জানা ছিল না, তাই নতুন করে আমি আবার বিয়ের আয়োজন করেছি।


এ বিষয়ে বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, এক যুবক দুই মেয়েকে বিয়ে করেছে এমন খবর শুনেছি। তবে এর আগে আমাকে মৌখিকভাবে তাদের অবিভাবকরা বিষয়টি জানালে আমি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। পরে তারাও আর আসেননি, যোগাযোগও করেননি ৷