কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ: সভাপতি পদে এগিয়ে রুবেল চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক
এহসান বিন মুজাহির থানা প্রতিনিধি শ্রীমঙ্গল , মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: শনিবার ১১ই জুন ২০২২ ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ: সভাপতি পদে এগিয়ে রুবেল চৌধুরী

আর কদিন পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পদের প্রার্থীরা যে যার মত করে প্রচারণা,ব্যানার,ফেস্টুন এবং পোস্টার টানিয়ে জানান দিচ্ছেন তাদের প্রার্থিতা। তৃণমূল কর্মীদের সাথে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ রাখছেন, নিচ্ছেন খোঁজখবর ।


এদিকে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,কমলগঞ্জ উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে জনসমর্থনে এখনো সবার থেকে এগিয়ে রয়েছেন রুবেল চৌধুরী । রুবেল চৌধুরী সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রলীগ কমিটিতে-১ নং সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব তিনি দীর্ঘদিন ধরে অত্যান্ত সুনাম সততা ও  সফলতার সাথে পালন করেছেন এমনটাই বলছেন তৃণমূলের ছাত্রলীগকর্মীরা ।নম্র ভদ্র আর পরোপকারী মনোভাবের কারণে ছাত্রলীগ ছাড়াও ভিন্ন মতের নেতাকর্মীদের মনও জয় করে নিয়েছেন রুবেল। রুবেল চৌধুরী কমলগঞ্জেরই এক সম্ভ্রান্ত আওয়ামী পরিবারের সন্তান হওয়ায় ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গসংগঠনের সিনিয়র নেতাকর্মীদের কাছেও রুবেল চৌধুরী গ্রহণযোগ্যতা  ব্যাপক। 


নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এবং দলীয়ভাবে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন একজন সিনিয়র নেতা বলেন ,ছাত্র রাজনীতিতে রুবেলের মতো নম্র ভদ্র মেধাবী ছেলেদেরকেই ডেকে এনে দায়িত্তশীল পদের দায়িত্ব দেয়া উচিত এমনটাই জানিয়েছেন রুবেল চৌধুরীর  সমর্থকরা । তারা বলেন, ছাত্র রাজনীতিতে রুবেল চৌধুরী''র মতো ভদ্র এবং সে যেকোনো শিক্ষা প্রতিস্টানে ছাত্র /ছাত্রীদের সমস্যার কথা শুনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে হলেও সমস্যা সমাধান করে উভয়পক্ষকেই মিলিয়ে দেন । তাছাড়া প্রাণ -প্রকৃতির রক্ষায় তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন দীর্ঘদিন ধরে । 


দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন স্থানে নানান জাতের বৃক্ষ রোপনও  করে যাচ্ছে সে । আওয়ামীলীগের সিনিয়র এই এই নেতা আরো বলেন,আমার মতে এমন ভদ্র ছেলেদের ডেকে এনে মূল্যায়ন করলেই  সরকারের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে । তিনি আরো বলেন ,রুবেল চৌধুরী একটি সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান । তার আপন চাচা মরহুম এম ইলিয়াস দলমত নির্বিশেষে ব্যাপক জনপ্রিয় একজন নেতা ছিলেন ,বঙ্গবন্ধুর সাথে তার ব্যাক্তিগত সক্ষতা ছিল ।


এই অঞ্চল থেকে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এম ইলিয়াস এমপি।  তিনবারের নির্বাচিত সংসদ হয়েও এমপি ইলিয়াস সাহেব জীবনযাপন করতেন তার একেবারেই সাদাসিধে । এখনো অত্র অঞ্চলের মানুষ,দলমত নির্বিশেষে মরহুম এম ইলিয়াস এমপি সাহেবকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন । তিনি প্রকৃত পক্ষেই মাটি মানুষের নেতা ছিলেন । তারই আপন ভাতিজা এই রুবেল চৌধুরী । রুবেলের মধ্যেও তার চাচার অনেক গুণাবলীই দেখা যায় । দীর্ঘদিন ধরে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ১ পদের দায়িত্ব পালন করেছেন রুবেল,সততা আর দক্ষতার সাথে। তার পরিবারের লোকজন সরাসরি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে  সম্পৃক্ত। জড়িত রয়েছেন আওয়ামীলীগ সহ তার অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে । 


আওয়ামীলীগের সিনিয়র আরেক নেতা নাম না বলার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন,রুবেল চৌধুরীর মতো রাজনৈতিক মাঠে দক্ষ এবং ভদ্র ছেলেদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে দিলে, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে দলের সুনাম বৃদ্ধি পাবে ।তিনি বলেন এত বছর ধরে ছাত্রীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ সিনিয়রদের কাছে আসেনি । দলের কিংবা পরিবারের ক্ষমতা দেখিয়ে আজ পর্যন্ত রুবেল চৌধুরী কোনো অন্যায় কাজ করেছে বলে কোনো অভিযোগ ওঠেনি । আসন্ন ছাত্রলীগের সম্মেলনে বিভিন্ন পদের জন্য রাজনৈতিকভাবে তার সাথে যে বা যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারাও তার সম্পর্কে কোনো অভিযোগ ওঠায়নি । 


মূলত ৫ই জুন ২০১৬ সালের কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগে রুবেল চৌধুরীর সাংগঠনিক পদে যোগদান করার পর থেকে ঝিমিয়ে পড়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য তৈরী হয়।রুবেল চৌধুরী ছাত্র রাজনীতি ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন।সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে গরিব অসহায় চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি । কমলগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মীর দাবি রুবেলকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দেখতে চায় তারা। রুবেল আসন্ন কমিটিতে উপজেলা ছাত্রলীগে সভাপতি হলে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ ফের সুসংগঠিত এবং গতিশীল হবে এমনটাই মনে করছেন ছাত্রলীগের সর্বস্তরের কর্মীরা ।


কে এই রুবেল চৌধুরী: 


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এক রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান রুবেল চৌধুরী। তার চাচা মরহুম এম ইলিয়াস মৌলভীবাজার ৪ আসনের তিন তিনবার বিপুল ভোট নির্বাচিত এমপি ছিলেন।এমপি হয়েও তিনি অত্যান্ত সাধারণ জীবনযাপন করতেন ,বিলাসিতাকে তিনি মোটেও পছন্দ করতেন না । আজও মৌলভীবাজার এবং শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন তাকে । পারিবাড়িভাবেই সম্ভ্রান্ত এক রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান রুবেল চৌধুরী । 


রুবেল চৌধুরীও ছোটবেলা থেকেই মনে প্রাণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আপোষহীন একজন ছাত্রনেতা ।রুবেল চৌধুরী কমলগঞ্জ পৌর এলাকার খুশালপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। খুশালপুর গ্রামের মৃত মতলিব চৌধুরীর ছোট ছেলে রোবেল চৌধুরী স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন । 


সর্বশেষ সদ্য বিলুপ্ত কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি । তার আপন চাচা হলেন মরহুম মোহাম্মদ ইলিয়াস এমপি। দলীয় সকল কর্মসূচিতে রুবেল চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের সরব উপস্থিতি। তার বড় ভাই সোহেল রানা চৌধুরী ছিলেন ঢাকা সেন্ট্রাল ল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। রুবেল চৌধুরীর আরেক ভাই খালেদ চৌধুরী বর্তমানে  কমলগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন ।


এদিকে উপজেলাসহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাদের সমর্থিত নেতাকর্মীদের নিয়ে তাদের  দাবি, সভাপতি পদে রুবেল চৌধুরী এবং অন্যান্য কিছু পদে তাদের সমর্থিত কয়েকজনকে কমিটিতে মূল্যায়ন করার দাবী নিয়ে এক বিশাল শোডাউন দিয়ে আলোচিত হিয়েছেন রুবেল চৌধুরীর সমর্থকরা । এদিকে কমলগঞ্জ  উপজেলা ছাত্রলীগের বেশিরভাগ কর্মীই  সুস্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন রুবেল চৌধুরীকে সভাপতি পদে না রেখে কমিটি গঠিত হলে সেটা হবে একটি দূর্বল সংগঠন । উপজেলায় অন্তর্গত ইউনিট মুখ থুবরে পরবে।


ছাত্রলীগের তৃণমূলের কর্মীরা বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে একেবারে স্পষ্টভাবেই বলা যায় কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে ছাত্রলীগের প্রাণ ,মাঠকাঁপানো ছাত্রলীগ নেতা রুবেল চৌধুরীকে সভাপতি না করে কমিটি করলে এটি স্রেফ কাগজ কমিটি অন্যভাবে বলতে গেলে পকেট কমিটি হয়েই পড়ে থাকবে। সভাপতি পদে আওয়ামী পরিবারের সন্তান,জনপ্রিয় ছাত্রনেতা রুবেল চৌধুরীর বিকল্প হিসেবে কমলগঞ্জ উপজেলায় শাখায় যোগ্য কোনো প্রার্থীই নেই এমনটাই নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।


রুবেল চৌধুরী জানান ,রাজনীতিতে আমার আদর্শ আমার চাচা মরহুম এম ইলিয়াস  ।আমি আমার চাচার আদর্শকে হৃদয়ে লালন করে এগিয়ে যেতে চাই  ।আজ মৌলভীবাজার জেলাবাসী আমার চাচাকে অন্তরস্থল থেকে শ্রদ্ধা করে তাই ঐ চাচার ভাতিজা হিসেবে আমিও অন্তর থেকে চাই ,মানুষ আমাকে ভালোবাসুক , দলমত নিবিশেষে সকল মানুষের কল্যানে যেন আমৃত্যু কাজ করতে পারি  ।আমি সকলের দোয়া চাই  ।