বালিয়াকান্দিতে দুটি ইটভাটার কাজ বন্ধ করলেন ইউএনও

নিজস্ব প্রতিবেদক
মইনুল হক মৃধা, জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
প্রকাশিত: বুধবার ২২শে জুন ২০২২ ০৮:২৫ অপরাহ্ন
বালিয়াকান্দিতে দুটি ইটভাটার কাজ বন্ধ করলেন ইউএনও

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে, তিন ফসলি কৃষি জমি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অবস্থানগত ছাড়পত্র না থাকায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে দুটি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা। অবৈধ ভাটা দুটি বন্ধের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজেই নিশ্চিত করেছেন।


বুধবার (২২জুন) দুপুরে ইউএনও আম্বিয়া সুলতানা  বালিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নের জাবরকোল গ্রামের মেসার্স ফারুক বিক্সস ও নবাবপুর ইউনিয়নের দুবলাবাড়ী গ্রামের জাকির হোসেনের ভাটায় উপস্থিত হয়ে এই অবৈধ ভাটা দুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।


জাবরকোল গ্রামের বাসিন্দা বালিয়াকান্দি সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বাসন্তী স্যানাল বার্তা২৪.কমকে বলেন, মেসার্স ফারুক বিক্সস এর মালিক মো: ফারুক হোসেন তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। ঐ ভাটার পাশেই রয়েছে জাবরকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ একাধিক ঘর-বাড়ী। মূলত ভাটাটি কৃষি জমি নষ্ট করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাতে নিমার্ণ করার চেষ্টা চালায়। পরে জাবরকোল গ্রামের বাসিন্দারা পরিবেশ অধিদপ্তর ফরিদপুরে উপ-পরিচালকসহ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।


গ্রামবাসীর সেই লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফরিদপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাবরকোল গ্রামে স্থাপিতব্য মেসার্স ফারুক বিক্সসকে ইটভাটা নির্মাণ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে ফারুক তিন ফসলি কৃষি জমি নষ্ট করে ইটভাটা নির্মাণের পায়তারা চালায়।


অবৈধ ভাবে ফারুক হোসেন ইটভাটা নির্মাণ করতে গেলে বুধবার সকালে গ্রামের কয়েক শত নারী-পুরুষ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে পুনরায় অভিযোগ করলে ইউএনও মহোদয় ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ভাটা নির্মাণের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে দুবলাবাড়ী গ্রামে জাকির হোসেনের ইটভাটা নির্মাণের কোন বৈধ কাগজ না থাকায় সেটার নির্মাণ কাজও বন্ধ করে দেন।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, আইন অনুযায়ী কেউ ফসলি কৃষি জমি নষ্ট করে ইটভাটা নির্মাণ করতে পারবে না। যে দুটি ভাটা নির্মাণের কাজ বন্ধ করা হয়েছে সে দুটি ভাটা পুরো কৃষি জমির মধ্যে এবং ফারুক হোসেনের ভাটার কিছু দূরেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তাছাড়াও ভাটা দুটির পরিবেশ অধিদপ্তরের অবস্থানগত কোন ছাড়পত্র নেই। যার কারনে ভাটা দুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে।