এবারের ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়ায় নেই ভোগান্তি, চলবে ২১ ফেরি ও ২২ লঞ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মইনুল হক মৃধা, জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৫ই জুলাই ২০২২ ০৭:২৩ অপরাহ্ন
এবারের ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়ায় নেই ভোগান্তি, চলবে ২১ ফেরি ও ২২ লঞ্চ

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় কোন প্রকার ভোগান্তি থাকবে না দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহারকারী যাত্রী ও যানবাহন চালকদের। কোন রকম সিরিয়ালে না থেকে সরাসরি এসে ফেরিতে উঠছে যানবাহন। এতেকরে এবারই প্রথম কোন রকম দূর্ভোগ ও অপেক্ষা ছাড়াই ঈদযাত্রা সম্পন্ন করতে পারবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষেরা।


আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিগ্ন করতে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ঘাট ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে সভায় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারমার নার্গিস আক্তার, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল হক শামীম, উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মৃধা, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রহমান মন্ডল, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) রেজা, আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম, জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা, ফরিদপুর জেলা বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


জানা যায়, পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে এবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করবে ২১টি ফেরি ও ২২ ছোট-বড় লঞ্চ চলাচল করবে। প্রয়োজন হলে আরও ১টি ফেরি বাড়ানো হবে। যাতে ঈদে কোন সমস্যা না হয়। বিগত বছরগুলোতে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে গত ২৫ জুন মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর পাল্টে যায় দৌলতদিয়া ঘাটের চিত্র। অতীতে দৌলতদিয়ায় মহাসড়কে ফেরির অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা থাকতো যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়ালে। আর বর্তমানে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকে ফেরি। ফলে এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি থাকবে না বলে ধরনা সংশ্লিষ্টদের।


ঈদযাত্রা নির্বিগ্ন করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, আসন্ন ঈদে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারীরা যাতে কোন ভোগান্তির শিকার না হয়, সেদিকে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের কাছ থেকে যাতে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে লক্ষ্যে কঠোর নজরদারি করা হবে। এছাড়া মহাসড়কে কোন প্রকার ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, ঈদ-উল আযহার সময়ে মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি কোরবানীর পশুবাহী গাড়ী দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে পারাপার হচ্ছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে হবে। বাস মালিকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আপনারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করবেন না। ভাড়ার তালিকা টানিয়ে দিবেন। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।