প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২২, ১:৩০
ফরিদপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে বেড়ে ওঠা এতিম আঙ্গুরীর বিয়ে ধুমধাম আয়োজনে শেষ হয়েছে। এ সময় বিয়েতে খাওয়ানো হয়েছে ৬০০ অতিথি। এদের মধ্যে বরযাত্রী ছিল ৫০ জন।
শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কেন্দ্রের ভেতরেই ২ লাখ টাকা দেনমোহরে আঙ্গুরীর বিয়ে হয়।
বর শহরের বায়তুল আমান এলাকার ইউনুছ সরদারের ছেলে মুরাদ সরদার।
জানা গেছে, শহরের বায়তুল আমানের বাসিন্দা আঙ্গুরীর বাবা মোতালেব শেখ মারা যায় জন্মের আগেই। পরে চার বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় মা ঝর্না বেগম। এর পরে আঙ্গুরী নানির কাছে থাকা শুরু করলেও কিছুদিনের মধ্যে তিনিও মারা যায়। এ সময় স্থানীয় এক সমাজকর্মীর মাধ্যমে আঙ্গুরীর জায়গা হয় ফরিদপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে। এদিকে আজ শনিবার দুপুরে সেই আঙ্গুরীর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে শহরের কমলাপুরস্থ পুনর্বাসন কেন্দ্রে।
কেন্দ্রের উপপ্রকল্প পরিচালক সৈয়দা হাসিনা আক্তার জানান, আঙ্গুরী যখন এখানে আসে তখন তার বয়স ছিল পাঁচ বছরের একটু বেশি। এখন আঙ্গুরীর বয়স ১৮ বছর। দীর্ঘ ১২টি বছর সে এখানে ছিল।
তিনি আরও জানান, ১৮ বছর হওয়ার পর সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমার তার জন্য একটা উপযুক্ত পাত্র খুঁজতে থাকি। ওর দাদা বাড়ির এলাকারই একজন পাত্র পেয়ে যাই। ছেলে ফার্নিচারের কাজ করে। বর মুরাদ সরদার ৫০ জন সঙ্গীসহ এসেছিলেন। এ সময় দুই লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী-আহসান, ফরিদপুরে কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতারা, এনজিও ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ীসহ ৬০০ অতিথি।