পাঁচবিবিতে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটি বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোস্তাকিম হোসেন, উপজেলা প্রতিনিধি পাঁচবিবি- জয়পুরহাট
প্রকাশিত: বুধবার ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৩৯ অপরাহ্ন
পাঁচবিবিতে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটি বাস

ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাটের পাঁচবিবির মহীপুর হাজী মহসীন সরকারি কলেজ। প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে অধ্যায়নরত সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থীর যাতায়াতের জন্য মাত্র একটি বাস।১৯৯৩ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবির্ধাতে ৫২ সিটের একটি বাস প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তর করেন।কলেজ কর্তৃপক্ষ যদিও শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ভর্তির সময় বাসভাড়ার টাকা কেটে নেয়।ভাড়া নিলেও সিংহভাগ শিক্ষার্থীরাই বাসে চড়তে পারেনা।বাসটি দীর্ঘদিন রাস্তায় চলাচল করে বর্তমানে একেবারে লক্কর-ঝক্করে পরিনত হয়েছে।বাসটির আসনের দ্বিগুনের অধিক শিক্ষার্থীরা বাদুড় ঝোলা হয়ে কলেজে আসে। শুধু মাত্র জয়পুরহাট-পাঁচবিবি-কলেজ রাস্তায় চলাচল করে।বাসটি জয়পুরহাট-পাঁচবিবি রাস্তায় শিক্ষার্থী পরিবহন করলেও অন্যান্য রাস্তায় চলাচল করেনা।এ কলেজে অধ্যায়নরত অন্যান্য এলাকার শিক্ষার্থীরা বাসভাড়া দিলেও বাসে চড়তে পারেনা।



উপজেলার শালপাড়া এলাকার একাদ্বশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী মোছা আমেনা খাতুন বলেন,পাঁচবিবি শহর পর্যন্ত কলেজ বাসে যেতে পারলে আমার বাড়ির অর্ধেক পথ যাওয়া হতো।এতগুলো ছাত্রছাত্রীর জন্য একটি মাত্র বাস।বাসটিতে তিল পরিমান জায়গা থাকেনা সেকারনে ভ্যানেই কলেজে যাতায়াত করি। 


কলেজের পূর্বদিক সড়াইল গ্রামের একই ক্লাসের ছাত্র রিয়াদ হোসেন বলেন,ভর্তির সময় বাসভাড়া ঠিকই নিয়েছে কিন্ত কোনদিনও কলেজের বাসে উঠতে পারলাম না। কারণ বাসটি আমাদের ওইদিকের রাস্তায় যায় না শুধু জয়পুরহাট-পাঁচবিবি রাস্তায় চলাচল করে।কলেজ চত্বরে বাসটিতে দেখা যায় গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরার জন্য বাসে উঠেছে।


জয়পুরহাট এলাকার একাধিক শিক্ষার্থী বলেন,আমরা যদিও প্রতিদিন কলেজের বাসে যাতায়াত করি কিন্ত আমাদের অন্য এলাকার সহপাঠিরা এ সুযোগ পায়না। উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষর নিকট তাদের দাবী কলেজে আরো বাস বরাদ্দ দেওয়া হোক যাতে আমাদের মত সবাই বাসে চলাচল করতে পারেন। এসময় তারা কলেজ হোস্টেলেরও দাবী জানান।     


এশিয়া উপমহাদেশের বর্ষীয়াণ মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৬৯ সালে পাঁচবিবি শহর থেকে দেড় কিঃমিঃ পূর্বদিক মহীপুরে কলেজটি স্থাপন করেন। ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ হয়।কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শুভাশীষ কুমার মন্ডল বলেন,এতগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মাত্র বাস একারণে সবাইকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বাসে আনানেওয়া করতে পারেনা।তবে শিক্ষক/শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য বাস চেয়ে উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষর নিকট আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান অধ্যক্ষ।