বরিশাল সিটি করপোরেশনকে (বিসিসি) উৎপাদনমুখী মেগা সিটিতে পরিণত করা, শিক্ষা-চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণসহ নগরবাসীর স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকার নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস।
রোববার (০৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল ক্লাবের অমৃত লাল দে মিলনায়তনে ৩০টি নির্দিষ্ট খাতে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লাঙ্গল মার্কার এই প্রার্থী। একই সঙ্গে ঘোষিত ইশতেহারে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলসহ পর্যটন এবং শিশু ও নারীবান্ধব নগরী গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন তাপস।
এসময় তিনি বলেন, বরিশাল নগরবাসীর স্বপ্ন-পূরণে নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো হলো- প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ ও জনসাধারণের হাঁটার জন্য ফুটপাথের ব্যবস্থা করা। রাস্তা-ঘাট নির্মাণের দরপত্রে ১০০% স্বচ্ছতার নিশ্চয়তা। শহরের ঐতিহ্যবাহী খালসমূহ খনন ও সংস্কার করে পুনরুদ্ধারসহ দুই পাড়ে সৌন্দর্য্য বর্ধন ও ফুটপাত নির্মাণসহ জনসাধারণের হাঁটার রাস্তা নির্মাণ করা। শহরের ঐতিহ্যবাহী দিঘী ও পুকুর সংস্কার করে পরিবেশ বান্ধব করে গড়ে তোলা। আধুনিক ব্যবস্থাপনায় সূর্যোদয়ের আগে শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা। প্রত্যেক ওয়ার্ডে কম খরচে/ফ্রি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা। প্রতিটি মহল্লা ও সড়কে ডিজিটাল বাতি স্থাপন করা। শহরের প্রতিটি মহল্লায় রাতে পাহারার ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা গেট নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচিত হলে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সহাবস্থান নিশ্চিত করা। ওয়ার্ডে কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা। প্রতিটি ওয়ার্ডে সাংস্কৃতিক ক্লাব ও খেলাধুলার মাঠ প্রতিষ্ঠা করা। নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহকে সংস্কার ও আধুনিকরণ করা। স্কুল সমূহে শিশুদের জন্য শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা। নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা।
কীর্তনখোলার তীর ঘিরে ভ্রমণ, আধুনিক ওয়াকওয়েসহ পার্ক গড়ে তোলা। বরিশালে পর্যটন হোটেল-মোটেল নির্মাণ ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা । ধর্মীয় স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত অনুন্নত কলোনী বা বাস্তহারা বাসিদের সকল প্রকার নাগরিক সুবিধার আওতায় আনা হবে।
ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, আমি মনে করিনা এখনও বরিশাল সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা একটু সুযোগ সুবিধা বেশি পাবেন, তারমানে এই নয়, তারা নিয়ম ভেঙ্গে রাস্তাঘাট দখল করে নির্বাচনী কার্যালয় বসাবেন। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের ৪ থানা এলাকায় ৪টি অফিস বসানোর কথা বলেছে। সেখানে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী কার্যালয়ের অভাব নেই। আবার তাদের লোকজন শহরে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। প্রশাসনও সবার সাথে সমান আচরণ করছে না। আমরা অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় তার সঙ্গে সহধর্মিনী ইসমত আরা ইকবাল টুপুর, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মহসিন উল ইসলাম হাবুলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।