বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই বিএনপির লক্ষ্য।মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।এ সময় সাইবার সিকিউরিটি মামলা, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের হস্তক্ষেপ, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা এবং সরকারের বিভিন্ন অত্যাচার ও নির্যাতনের তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭১ সালে যে চেতনা ও আশা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, সেখানে মুক্ত গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যে মিডিয়া কথা বলছে তাদেরই টুটি চেপে ধরা হচ্ছে। সত্য কথা বলে সরকার বিরোধী মত প্রকাশ করায় অনেকেই আজ চাকরিচ্যুত হয়ে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সরকার বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম ও হত্যাসহ ৪০ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ জন্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে চাই এ কথাটি মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। দেশের প্রধান সংকট গণতন্ত্র না থাকা। এই সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। গত ১০ বছরে এক দলীয় শাসন কায়েম করেছে। আবারও তারা ভোট চুরির নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। আমরা তা সফল হতে দেব না।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জনগণ তাদের ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় থাকলে এটা সম্ভব নয়। সে কারণে আমরা পরিষ্কার বলেছি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। সেই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো এক সঙ্গে আন্দোলন করছি। আমাদের লক্ষ্য গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু চৌধুরী, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, রুমিন ফারহানা, কাদের গণি চৌধুরী, শায়রুল কবির খান, ওলামা দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।