ঝালকাঠি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা: ঘাতক বাসের সুপারভাইজার গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো. নাঈম হাসান ঈমন, জেলা প্রতিনিধি (ঝালকাঠি)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৫শে জুলাই ২০২৩ ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা: ঘাতক বাসের সুপারভাইজার গ্রেফতার

ঝালকাঠিতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় "বাসার স্মৃতি" নামের যাত্রীবাহী বাসের ১৭ জন যাত্রীর প্রাণহানীর ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯৮/১০৫ ধারায় ঝালকাঠি সদর থানায় একটি মামলা রুজু হয়।


ঐ থানার এসআই সুশংকর বাদী হয়ে রবিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। এতে বাসের চালক মোহন (৪০), সুপারভাইজার মিজান (৩০) এবং হেলপার আকাশ (১৭) কে আসামী করা হয়। এরা সকলেই দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।


বরিশাল র‌্যাব-৮ এর একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে সোমবার (২৪ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫ টায় ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ২নং আসামী "বাসার স্মৃতি" নামক বাসের সুপার ভাইজার মো. ফয়সাল ওরফে মিজানকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব সদস্যরা।


গাড়িটির সুপারভাইজারকে গ্রেফতারের বিষয়টি উল্লেখ করে সোমবার রাতে বরিশাল র‌্যাব-৮, সিপিএসসি, বরিশাল থেকে গনমাধ্যমের কাছে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। রাতেই আসামী মিজানকে ঝালকাঠি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে ঐ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র‍্যাব।


গ্রেফতারকৃত মো. ফয়সাল ওরফে মিজান রাজাপুর উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের নরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে।


রাতে তাকে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এখনো ঘাতক বাসের চালক মোহন খান (৪০) এবং চালকের সহকারী (হেলপার) আকাশ ওরফে বুলেট (১৮) পলাতক রয়েছে।


ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘সুপারভাইজার মো. ফয়সালকে র‌্যাব সদস্যরা রাতে ঝালকাঠি থানায় হস্তান্তর করেছে। এই মামলায় বাকি দুজন গাড়ির চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। এদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহামুদ বাচ্চু বলেন, বাসচালক, সুপারভাইজার ও চালকের সহকারী কোথায় পালিয়ে আছে, আমরাও জানার চেষ্টা করছি। দুর্ঘটনায় বাস মালিক সমিতি ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। আমরাও দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধান করতে পারব।


উল্লেখ্য, ২২ জুলাই শনিবার সকালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী বাস ঝালকাঠির গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকান্দা এলাকায় সড়কের পাশে উল্টে পানিতে নিমজ্জিত হয়। এতে ১৭ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন নারী, ৬ জন পুরুষ ও ৩ জন শিশু। এ ঘটনায় আরও  ৩৫ জনকে আহত হয়েছেন।