৭ মাসের বকনা বাছুর প্রতিদিন দুধ দেয় !

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরাজী মো.ইমরান, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: সোমবার ১৪ই জুন ২০২১ ০৭:৫২ অপরাহ্ন
৭ মাসের বকনা বাছুর প্রতিদিন দুধ দেয় !

দুধের বাছুর। বয়স মাত্র ৭ মাস। নিজেই পান করছে মায়ের দুধ। অথচ সেই বাছুরই প্রতিনিয়ত দুধ দিচ্ছে ৩ লিটার। ব্যতিক্রমী এ ঘটনা বিস্ময় সৃষ্টি করেছে অনেকের মনে। তাই এ বাছুরটিকে এক নজর দেখতে ওই বাড়িতে ভীর করছে অসংখ্য মানুষ। তবে হরমোনের কারনে এমন ঘটনা ঘটছে বলে ধারনা উপজেলা প্রানি সম্পদ বিভাগের।




পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম রজপাড়া গ্রামের নুরইসলাম হাওলাদার প্রায় ১০ বছর ধরে গরু পালন করে আসছে। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে বিভিন্ন জাতের ১৩ টি গরু। প্রায় ৮ মাস আগে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী বাছুর প্রসব করে। বাচ্চার বয়স ৭ মাস হওয়ার পর বকনা বাছুরের ওলান ফোলানো দেখতে পান নুর ইসলামের স্ত্রী ফুলবানু।




 পরে স্থানীয়দের পরামর্শে বাছুরের ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ শুরু করেন নুর ইসলাম। প্রথম কয়েকদিন বাছুরটি থেকে এক লিটার দুধ পান তিনি। এখন দুধের পরিমান বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন বাছুরটি সকালে দুই লিটার এবং বিকালে এক লিটার করে দুধ দিচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা এই দুধ পান করছেন। মাঝে মাঝে এই দুধ এলাকার মানুষদের দিচ্ছেন বিনামূল্যে। ৭ মাস বয়সের বাছুর থেকে দুধ পেয়ে শুকরিয়া আদায় করেছেন নুরইসলাম ও ফুলবানু দম্পত্তি। 




চাকামাইয়া থেকে আসা ষাটোর্ধ্ব সাইফুল মিয়া জানান, জীবদ্দশায় এরকমের ঘটনা আর শুনিনি। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। তাই নিজ চোখে এসে দেখলাম। এটা আল্লাহর নেয়ামত। 




আমতলী থেকে আসা রাকিবুল ইসলাম জানান, ৭ মাসের বাছুর দুধ দেয়, এটা আসলে অবিশাস্য। নিজ চোখে দেখেছি এবং দুধও পান করেছি। এটা আমার কাছে স্বাস্থ্য সম্মত মনে হয়েছে। 




খামারী নুর ইসলাম জানান, প্রায় দশ বছর ধরে গরু পালন করে আসছি। এভাবে আমার খামারের বাছুর দুধ দিবে নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিনা। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই। 




নুর ইসলামের স্ত্রী ফুলবানু জানান, প্রতিদিন আমাদের এ বাছুরটি দেখতে দুর দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসে। বাছুর থেকে অলৌকিকভাবে পাওয়া দুধ আমার নিজেরা পান করি। মাঝে মাঝে আগত মানুষেরও বিনামূল্যে পান করাই। 




কলাপাড়া উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, হরমোনের কারনে বকনা বাছুরটি দুধ দিচ্ছে, তাই বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। এ বাছুরটিকে আমরা সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখছি।