প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১:৩৫
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস সাধারণত প্রিয়জনের সঙ্গে উদযাপন করা হয়। তবে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ভালোকুটিয়া গ্রামের যুবক পাভেল প্রামানিক এই দিনটিকে অনন্যভাবে উদযাপন করেছেন। নিজের আনন্দ একা উপভোগ না করে তিনি শতাধিক এতিম ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী কবরস্থান নূরানী হাফেজিয়া আদর্শ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য এ আয়োজন করা হয়। এতে পোলাও, গরুর মাংস, বুটের ডাল, ডিম ও দইসহ উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
ভালোবাসার ব্যতিক্রমী রূপ
শুধু খাবার পরিবেশনই নয়, পাভেল প্রামানিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেন এবং নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করেন। শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করাকেই তিনি আনন্দের সত্যিকারের রূপ বলে মনে করেন।
মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমরা অনেক আনন্দ পেয়েছি। সব সময় এমন খাবার পাই না। পাভেল ভাই আমাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, এতে আমরা খুব খুশি।"
পাভেল প্রামানিক বলেন, "ভালোবাসা মানে কেবল একজনের প্রতি অনুভূতি নয়, ভালোবাসা মানে মানবিকতা ও সহমর্মিতা। এই শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করাটাই আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের।"
সমাজের জন্য ইতিবাচক বার্তা
গোবিন্দাসী কবরস্থান নূরানী হাফেজিয়া আদর্শ মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মো. জাহিদুল ইসলাম এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, "এমন মহৎ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। সমাজের অন্যান্য মানুষদেরও এভাবে এগিয়ে আসা উচিত, যাতে অসহায় শিশুরা ভালোবাসা ও সহানুভূতি পায়।"
ভালোবাসা দিবস মানে শুধু নিজের প্রিয়জনকে সময় দেওয়া নয়, বরং সমাজের অবহেলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোও ভালোবাসার এক অনন্য রূপ। পাভেল প্রামানিকের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সমাজে ইতিবাচক বার্তা দেবে এবং অন্যদেরও মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে।