অনুমতি ছাড়া জমি কেনায় শাস্তির মুখে আত্রাইয়ের ইউএনও কামাল

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা নিজের জেলায় জমি কিনতে চাইলে আগে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু সেই নিয়ম উপেক্ষা করে নিজ জেলা কুষ্টিয়ায় জমি কিনেছিলেন কামাল হোসেন। বিষয়টি তদন্তে উঠে আসার পরই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তদন্ত শেষে প্রমাণিত হয়, তিনি সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ লঙ্ঘন করেছেন। আর এ কারণেই তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হলো।

তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অন্য কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ থেকে তিনি রেহাই পেয়েছেন। যেমন- মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিতে নিজের মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে পিতা সাজানো, জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন, মিথ্যা পরিচয় ব্যবহারসহ নানা অভিযোগের তদন্ত হলেও এসবের প্রমাণ মেলেনি। শুধু জমি কেনায় নিয়ম না মানার বিষয়টিই প্রমাণিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আর শাস্তি হিসেবে দুই বছরের জন্য তার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত থাকবে। এটি লঘুদণ্ড হিসেবে গণ্য হবে।

জানা গেছে, কামাল হোসেন এর আগে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন। তখনই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে। যদিও তদন্তে এসব অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। তবুও জমি কেনার ঘটনাই শেষ পর্যন্ত কাল হলো তার জন্য।

সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আচরণ বিধিমালা মেনে চলার কথা থাকলেও ইউএনও কামাল হোসেনের এমন কাজ প্রশাসনের নিয়মনীতি ভঙ্গের পরিষ্কার উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এজন্য তাকে শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে। এ ঘটনা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তাদের জন্যও বার্তা বহন করছে যে, নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনো কিছুই ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায় না।