প্রকাশ: ৬ জুন ২০২৫, ১১:৫৯
পটুয়াখালী জেলা সহ ২২টি গ্রামে মধ্যপ্রাচ্যের সাথে সমন্বয় রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ৪শ মানুষ একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। দরবার শরীফের পীর সাহেব আরিফ বিল্লাহ রব্বানী নামাজের খুৎবা পড়েন এবং মোনাজাত পরিচালনা করেন। এই জামাতের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষ ঈদের পবিত্রতা ও ঐক্যবদ্ধতা প্রকাশ করেছেন। বদরপুর দরবার শরীফের ইমাম মাওলানা শফিকুল ইসলাম গনি জানান, ১৯২৮ সাল থেকে এই এলাকার মুসল্লিরা একদিন আগে থেকে রোজা শুরু করেন এবং তার সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেন।
মাওলানা শফিকুল ইসলাম গনি আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে চাঁদ দেখা গেলে সেই অনুযায়ী রোজা রাখা ও ঈদ পালন মুসলিমদের জন্য ফরজ এবং এটি ধর্মীয় ঐতিহ্যের অংশ। বদরপুর দরবার শরীফের পীর আলহাজ মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ রব্বানী জানান, ১৯৪০ সাল থেকে বদরপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় মুসলমানরা চাঁদ দেখে একসাথে ঈদ উদযাপন করে আসছেন। তিনি বলেন, মুসলিম জাতির জন্য একসঙ্গে একই চাঁদ দেখে ঈদ উদযাপন করা উচিত, যা একতাবদ্ধতার নিদর্শন।
পটুয়াখালীর বিভিন্ন গ্রামের মুসল্লিরা ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানি দিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করেন। জেলার গলাচিপা, বাউফল, কলাপাড়া ও সদর উপজেলার ২২টি গ্রামে বিভিন্ন স্থানীয় মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এসব এলাকায় হানিফি মাজহাবের কাদেরিয়া তরিকার ভক্তরা প্রধান অংশগ্রহণ করেন। তারা সবাই একসাথে মিলেমিশে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন।
চট্রগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হযরত শাহসুফি মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মমতাজ আলী এ তরিকার বর্তমান পীর হিসেবে মুসল্লিদের নেতৃত্ব দেন। পীরের নির্দেশে মুসল্লিরা ধারাবাহিকভাবে ঐতিহ্য বজায় রেখে একই চাঁদ দেখে ঈদ উদযাপন করে থাকে। এতে ধর্মীয় ঐক্য ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।
ঈদুল আজহার আনন্দে ভরে ওঠে ছোট থেকে বড় সবাই। তারা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন, পশু কোরবানি দিয়ে দান-খয়রাত করেন এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নেন। এই ঈদ উদযাপন ধর্মীয় প্রথার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে।