তজুমদ্দিনে ধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি গ্রেপ্তার

মো. আলাউদ্দিন তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইয়াছিনের ছেলে। অন্যদিকে মো. ফরিদ একই ইউনিয়নের শশীগঞ্জ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেজামুল হকের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে আলাউদ্দিনকে হাতিয়া থেকে এবং ফরিদকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে আটক করা হয়।  

ঘটনাটি গত ২৯ জুন তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মাওলানাকান্দি এলাকায় সংঘটিত হয়। মামলার বাদী ঢাকায় একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন। তার তৃতীয় স্ত্রী ঝর্ণা বেগমই এই ঘটনার মূল হোতা বলে অভিযোগ রয়েছে।  

এজাহার অনুযায়ী, ঝর্ণা বেগম ২৮ জুন রাতে বাদীকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আলাউদ্দিন ও ফরিদসহ কয়েকজন চাঁদা দাবি করে। টাকা না পেয়ে তারা বাদীকে পাইপ দিয়ে মারধর করে। পরদিন বাদীর প্রথম স্ত্রী ঘটনাস্থলে এলে তাকেও চাপ দেওয়া হয়। পরে আলাউদ্দিন ও ফরিদ তাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।  

৩০ জুন বাদী তজুমদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে মোট ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়, যার মধ্যে ৭ জন পরিচিত এবং ৫ জন অজ্ঞাত। এর আগে পুলিশ ঝর্ণা বেগমকে এবং র‍্যাব-৮ মানিককে গ্রেপ্তার করেছে।  

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় এই ধরনের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।