পটুয়াখালীর বাউফলে স্ত্রীকে পরকীয়ার সন্দেহে গলা কেটে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী সরোয়ার হোসেন (৪০)। শুক্রবার (১ আগস্ট) ভোরে চার বছর বয়সী শিশু সারফারাজকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বাউফল থানায় গিয়ে খুনের দায় স্বীকার করেন।
পুলিশ জানায়, সরোয়ারের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাউফলের চন্দ্রপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে নিহত সালমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর মেয়ে এবং নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।
অপরদিকে অভিযুক্ত সরোয়ার হোসেন নদমুলা গ্রামের মৃত মোকসেদ আলীর ছেলে। চাকরিসূত্রে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান চন্দ্রপাড়ায় মো. জসিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কয়েক মাস ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বুধবার (২৯ জুলাই) বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে সরোয়ার স্ত্রী সালমার ঘাড়ে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। হত্যার পর ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে সরোয়ার তার সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান।
তবে দুই দিন পর বিবেকের দংশনে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার জানান, সরোয়ার জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহেই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে পটুয়াখালী জেলা মর্গে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের পেছনের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। শিশু সারফারাজ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম।