প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৫২
জামালপুর সদর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর কুমারিয়া গ্রামে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্বজনদের দখলে থাকা জমি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রবিদাস (মুচি) সম্প্রদায়ের সাতটি সংখ্যালঘু পরিবার। গতকাল রবিবার দুপুরে দখলকৃত জমিতেই এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ফুলচাঁন রবিদাস অভিযোগ করেন, শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা মো. শাহজাহান, তার ভাতিজা একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকিউল ইসলাম রানা সরকারসহ তাদের স্বজনরা দুই একর ১৯ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। তাদের মোট জমির পরিমাণ দুই একর ৭৯ শতাংশ হলেও বর্তমানে মাত্র ৬০ শতাংশ জমি নিজেদের দখলে আছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পরিবারের সদস্যরা ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার উদ্যোগ নিলে মো. শাহজাহান দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্থাপনকৃত বিদ্যুতের খুঁটি তুলে ফেলেন। ফলে বহু বছর ধরে তারা বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত। সন্তানেরা রাতে কুপিবাতি জ্বালিয়ে লেখাপড়া করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুচি সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে থাকা জমি এখন রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের কবলে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিক হাওলাদার, আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, রুস্তম আলী, আব্দুল হক, আহ্সান হাবিব ও জাকির হোসেন জানান, তারা বহু আগে থেকেই বিরোধপূর্ণ জমিতে মুচি সম্প্রদায়ের লোকজনকে চাষাবাদ ও বসবাস করতে দেখে আসছেন।
শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেজাউল করিম সোহেল বলেন, বিবাদমান জমি নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হলেও এখনো কোন সমাধান হয়নি।
অভিযুক্ত সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমিটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি, রবিদাস পরিবার কখনোই এর মালিক ছিলেন না। বহু বছর আগে অস্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হলেও তারা এখন জমির মালিকানা দাবি করছেন, যা অযৌক্তিক। তিনি আরও দাবি করেন, ১৯৭২ সালের পর থেকে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।