গাজীপুরের কলম সৈনিক সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মাদারীপুর জেলার ডাসারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকালে ডাসার ও কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা ডাসার উপজেলা পরিষদের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, সাহসী এই সাংবাদিককে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যার ঘটনা শুধু সংবাদমাধ্যম নয়, গোটা জাতির জন্য কলঙ্কজনক। তারা অবিলম্বে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে সাংবাদিকরা যাতে নিরাপদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে জন্য দ্রুত সাংবাদিক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি তোলেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা একমত হয়ে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনা থামাতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জনকণ্ঠের সাংবাদিক মো. জাফরুল হাসান, আনন্দ টিভির সাংবাদিক ম.ম. হারুর অর-রশিদ, দিনকাল পত্রিকা ও চ্যানেল এস টিভির ডাসার উপজেলা প্রতিনিধি মো. আতিকুর রহমান আজাদ, সাংবাদিক রতন দে, যায়যায়দিন পত্রিকার সাংবাদিক মো. নাজমুল হোসেন, সাংবাদিক সাব্বির হোসেন, সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক আশরাফুর রহমান হাকিম, কালবেলা পত্রিকার সাংবাদিক সৈয়দ রাকিবুজ্জামান, সাংবাদিক শাহরিয়ার তুহিন, কালকিনি উপজেলা চ্যানেল এস টিভির সাংবাদিক ইব্রাহিম সবুজ, সাংবাদিক খন্দকার শামিম হোসেন, সাংবাদিক রাজু আহম্মেদ বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন পেশার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ একজন কলম সৈনিক ছিলেন। তার সাহসী সংবাদ প্রকাশের জন্যই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত শুরু না হলে সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলনে নামবে। সেই সঙ্গে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে উদাহরণ স্থাপন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিয়ে খেলতে না পারে।
স্থানীয়দের দাবি, সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে আইনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। কারণ সাংবাদিক শুধু খবরের বাহক নন, তারা সমাজের সমস্যাগুলো তুলে ধরে সমাধানের পথ খোঁজেন। তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব।