প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩৯
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বারমল্লিকা গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্র রাহুল শেখ মাত্র চার দিনে নিজ হাতে একটি বিমান তৈরি করে এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় রামদিয়া বেনীমাধব বিপিনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ক্ষুদে বিজ্ঞানীর তৈরি বিমানটি আকাশে ওড়ানোর পর থেকে তাকে দেখতে প্রতিদিন বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।
রাহুলের বাবা শামসুল শেখ একজন কৃষক। রাহুল ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসে। তার নিজস্ব মেধা, অধ্যবসায় এবং ইউটিউব থেকে শেখার মাধ্যমে মোটর, ব্যাটারি ও রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করে মাত্র ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে বিমানটি তৈরি করেছে। সে বলেছে, ‘প্রথমে ওজন বেশি হওয়ায় বিমানটি উড়তে পারেনি, অনেকেই হাসাহাসি করলেও আমি থামিনি।’ অবশেষে চারদিনের পরিশ্রমের পর তার তৈরি বিমান আকাশে সফলভাবে উড়ে যায়।
রাহুলের এই সাফল্য তার পরিবার, শিক্ষক এবং সহপাঠীদের মধ্যে গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী তাকে ভবিষ্যতের প্রতিভাধর বিজ্ঞানী হিসেবে দেখছে। তার মা আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে কঠোর পরিশ্রম করে এই সাফল্য অর্জন করেছে। আশা করি সে ভবিষ্যতে আরও বড় বড় আবিষ্কার করবে।’
রাহুলের বাবা শামসুল শেখ জানান, ‘আমার ছেলে শুধু বিমান নয়, ফ্যান-লাইটসহ অনেক কিছু বানিয়েছে। ওর এই আগ্রহ দেখে আমি উৎসাহিত। আমি সবসময় ওর পাশে থাকব যেন সে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’
রাহুলের এই উদ্যোগ অন্য অনেক শিক্ষার্থী ও যুব সমাজের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। তার দক্ষতা ও অধ্যবসায়ের ফলে প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে। অনেকেই তার সফলতার গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন এবং নিজেকে অনুশীলনে নিয়োজিত করার সংকল্প নিচ্ছেন।
স্থানীয় স্কুলের শিক্ষকগণও রাহুলের কাজকে প্রশংসা করে বলেন, ‘রাহুলের মতো মেধাবী ছাত্ররা প্রযুক্তি শিক্ষায় আরও মনোযোগ দিলে দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সম্ভব।’ তারা ভবিষ্যতে তার মতো আরো অনেক প্রতিভাবান ছাত্রের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাজবাড়ী জেলার এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী রাহুল শেখের অবদান সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তার সাফল্য প্রমাণ করে যে সঠিক উৎসাহ ও অধ্যবসায় থাকলে সীমাবদ্ধতা ভেঙে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়।এই গল্প থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও অনেক যুবক ও শিক্ষার্থী তাদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।