প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৩
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে আবারও বড় চালান ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। নাফ নদীতে জেলের বেশ ধরে নৌকায় করে পাচারের সময় প্রায় ১ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এসময় পাচারকারীরা নদীতে লাফিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে সাবরাং বিওপি সংলগ্ন নাফ নদীতে। গোপন সংবাদে বিজিবির বিশেষ টহল দল সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিয়ে অভিযান চালায় এবং এ সময় সন্দেহভাজন নৌকা থেকে মাদকগুলো জব্দ করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আসা একটি নৌকা নদীতে বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরছিল। পরে সেটি নাফ নদীর শূন্য লাইন থেকে প্রায় ১০০ গজ ভেতরে এসে মাছ ধরার ভান করে অপেক্ষা করতে থাকে। এসময় বিজিবি সদস্যরা কৌশলগতভাবে একাধিক স্থানে নৌটহল মোতায়েন করে রাখেন।
সন্দেহভাজন নৌকাটিকে ধাওয়া করলে এতে থাকা দুইজন পাচারকারী দ্রুত নদীতে লাফিয়ে পড়ে। তারা সাঁতার কেটে সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের ভেতরে পালিয়ে যায়। ফলে পাচারকারীদের কাউকেই আটক করা যায়নি।
পরে নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে মাছ ধরার জালের ভেতরে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। সেই প্যাকেটের ভেতরে মোড়ানো অবস্থায় ছিল ১ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
এ ঘটনায় মাদক পাচারে জড়িতদের ধরতে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে বিজিবি জানিয়েছে, এ বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান রাতে সাংবাদিকদের জানান, উদ্ধার হওয়া ইয়াবা বিজিবির জিম্মায় রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পাচারকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, নাফ নদীর সীমান্ত এলাকা দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালানকারীদের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে। তবে বিজিবি নিয়মিত অভিযান চালিয়ে গেলেও পাচারকারীরা নানা কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে।