প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৯
অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে দক্ষ ও কর্মক্ষম মানবসম্পদ অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি হোক বা চ্যালেঞ্জ যত বড়ই হোক, সুস্থ ও সবল প্রজন্ম গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আজ আমরা একত্রিত হয়েছি। দক্ষ ও কর্মক্ষম মানবসম্পদ না থাকলে জাতীয় উন্নয়ন এবং ব্যক্তিগত জীবনের অগ্রগতি দুটোই যথাযথভাবে সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই অসংক্রামক রোগের বিস্তার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, বিপুল জনসংখ্যা এবং ক্ষুদ্র এলাকা এই সমস্যাকে আরও সংকটময় করেছে।
ড. ইউনূস বলেন, এটি শুধু স্বাস্থ্যখাতের নয়, সামগ্রিক অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, দেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশই অসংক্রামক রোগের কারণে ঘটে, যার মধ্যে ৫১ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ৭০ বছরের নিচে, অর্থাৎ অকাল মৃত্যু হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া ব্যক্তিগত চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৯ শতাংশই অসংক্রামক রোগের জন্য ব্যয় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত করার পাশাপাশি প্রতিরোধ এবং জনসচেতনতা নিশ্চিত করা জরুরি। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে এটি সম্ভব নয়। তাই খাদ্য, কৃষি, শিক্ষা, ক্রীড়া, স্থানীয় সরকার ও গণপূর্তসহ প্রতিটি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি খাত থেকে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও নিবিড় উদ্যোগের মাধ্যমে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। এই উদ্যোগ জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।