প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩৮
টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে ফজল হক (৫৫) হত্যার মামলার দুই আসামীকে সিপিসি-৩, র্যাব-১৪, টাঙ্গাইল গ্রেফতার করেছে। মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিঃ সকাল অনুমান ৯টার দিকে বিবাদীগণ ভিকটিমের বাড়ীর পাশে বিরোধী জমি দখল করতে গেলে ফজল হক এবং তার পরিবারের লোকজন তাদের বাধা দেয়।
এই বিরোধের জেরে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফজল হককে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও যখন এগিয়ে আসে, তখন তাদেরকেও রক্তাক্ত জখম করা হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় ফজল হককে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মরিয়ম আক্তার (৩৮), নিহতের স্ত্রী, মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার নং ৩০, তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২৫। মামলা ধারা অনুযায়ী ১৪৩, ৪৪৭, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২, ৫০৬, ১১৪, ৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ অন্তর্ভুক্ত।
ঘটনার পর র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্প ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত তদারকি চালিয়ে আসছিল।
এর ধারাবাহিকতায়, ১৯ জুলাই ২০২৫ খ্রিঃ রাত প্রায় ৯:৪০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া থানাধীন রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে দুই আসামী শাহজাহান (৫৫) এবং শরিফ (৪০)কে গ্রেফতার করা হয়। উভয় আসামী টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা।
গ্রেফতারকৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য মির্জাপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব জানিয়েছে, অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা এবং মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডে নিহতের পরিবার গভীর শোকের মধ্যে রয়েছে। তদন্ত চলছে এবং পুলিশসহ র্যাবের তৎপরতা বজায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংঘর্ষ নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত অভিযান অপরিহার্য। গ্রেফতারকৃত আসামীরা আদালতের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হবেন, যা স্থানীয় জনগণকে আইনগত স্বস্তি দেবে।