প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এক যুবককে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ না দেওয়ায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে মেরুং পুলিশ ফাঁড়িতে এই ঘটনা ঘটে। আহত যুবকের নাম ইসমাইল হোসেন, তিনি স্থানীয় একটি ক্যাবল ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী।
ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করেছেন, তিন দিন আগে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নাজমুল হাসান তাকে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে তাকে ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়। মারধরের সময় তার দুই হাত গুরুতরভাবে জখম হয়।
ঘটনার পরপরই ক্ষুব্ধ জনতা ফাঁড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা পুলিশ কর্মকর্তার অসংবেদনশীলতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এবং আহত যুবকের পক্ষ নেয়। পরিস্থিতি শিগগিরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
খবর পেয়ে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি জানান, আহতের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।
ওসি জাকারিয়া সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত এসআই নাজমুল হাসান তার কাছে দোষ স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সুপারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ এই ধরনের পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং নিরাপদ ও ন্যায়সঙ্গত আচরণের জন্য দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
দীঘিনালা এলাকার মানুষ আশা করছেন, এই ঘটনা একটি সতর্কবার্তা হবে যাতে ভবিষ্যতে পুলিশি আচরণ আরও নিয়মিত ও মানবিকভাবে পরিচালিত হয়। আহত যুবকের চিকিৎসা চলমান রয়েছে এবং তার পরিবার এখন মানসিক ও শারীরিক সহায়তা পাচ্ছে।
প্রশাসন আশা করছে, তদন্ত শেষ হলে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের ঘটনা আবার না ঘটার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশি আচরণে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।