প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৩০
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা শহরে শনিবার সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়, যা ধর্মপ্রাণ মানুষের অংশগ্রহণে একটি বৃহৎ মিলনমেলায় পরিণত হয়।
দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে। এ সময় ইসলাম ধর্মের মহান নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ ও মানবকল্যাণে তাঁর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। তিনি জশনে জুলুসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ সমাজে ছড়িয়ে দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
উদ্বোধনের পর শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পথে পথে ধর্মপ্রাণ মানুষ বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও পতাকা হাতে নিয়ে ইসলামি শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে গোটা শহরকে। পরে শোভাযাত্রা পৌরসভা ঈদগাহ ময়দানে গিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত খাগড়াছড়ি আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি আবু তাহের আনসারী, সেক্রেটারি মো. সাজ্জাদ মাহমুদ, খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সালাউদ্দিন আল কাদেরী এবং আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি আব্দুন নবী হক্কানী। এছাড়া স্থানীয় আলেম-উলামারাও জশনে জুলুসে অংশ নেন।
মাহে রবিউল আউয়ালকে ঘিরে এই আয়োজনে হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণ পর্যন্ত সবাই শোভাযাত্রায় শরিক হন। তাদের উপস্থিতি ও উচ্ছ্বাস গোটা শহরে উৎসবের আমেজ তৈরি করে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সমগ্র মানবতার জন্য দয়া ও কল্যাণের দূত। তাঁর জীবনের প্রতিটি দিক আজকের সমাজে অনুসরণ করলে পারস্পরিক শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে।
বক্তারা সবাইকে নবীজীর (সা.) শিক্ষাকে দৈনন্দিন জীবনে ধারণ করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, রাসূলের আদর্শই পারে একটি আদর্শ সমাজ গড়ে তুলতে, যা ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ হবে।