প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য ফরহাদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে অনুসারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীদের বাড়িতে হামলা এবং লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকালে ধীতপুর গ্রামে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ইউপি সদস্য ও তার অনুসারীরা আচমকা হামলা চালিয়ে পাঁচটি বসতঘর, একটি অটোরিকশার গ্যারেজ এবং একটি গরুর খামার ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করেছে। হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অভিযোগ, ফরহাদ ভূঁইয়া এবং তার চাচাতো ভাই প্রবাসী সুমন ভূঁইয়া দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে জড়িত। আদালতে মামলাও চলমান থাকলেও ইউপি সদস্য প্রায়ই তার অনুসারীদের দিয়ে সুমন ও তার পরিবারের বাড়িতে হামলা চালায়। শুক্রবার সকালে এই হামলায় স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরে এবং বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ আলমগীর মিয়া সাংবাদিকদের জানান, তারা ন্যায় বিচার চান এবং এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছেন। তার বক্তব্য, ‘আমি ন্যায়ের পক্ষে কথা বলায় ফরহাদ মেম্বারের অনুসারীরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
প্রবাসী সুমন ভূঁইয়া অভিযোগ করেছেন, জমি ক্রয়ের সময় তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে। তার ভাইয়ের প্রবাসে থাকার সুবিধা নিয়ে ফরহাদ মেম্বারের সহযোগিতায় জীবন মিয়া জমিটি বেশি মূল্যে কিনে নেয় এবং এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
অপরদিকে ইউপি সদস্য ফরহাদ ভূঁইয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছে তারা অনেকেই মাদকাসক্ত ও উন্মাদ। আমি শান্তিপ্রিয় এবং আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, রাজনৈতিক দাপট দেখিয়ে তার পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে।
স্থানীয় পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সরাইল থানার ওসি মোঃ মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, এখন এলাকা শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এবং তারা দ্রুত ন্যায় বিচার চেয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর। এলাকাবাসী আশা করছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।
এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা কমলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মানসিকভাবে ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।