প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৬
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক অরফে নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে আগুনে পোড়ানো, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের আমীর এ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম। তিনি এক বিবৃতিতে ঘটনাটিকে অমানবিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেন।
নুরুল ইসলাম বলেন, সর্বদলীয় ও সর্বমহলের ঈমান আকিদাহ সংরক্ষণ কমিটির পক্ষ থেকে গত ৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হয় গোয়ালন্দে কোনো মিছিল হবে না, কেবল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্ত ইমাম আকিদাহ রক্ষা কমিটির সভাপতিও উপজেলা ইমাম কমিটির নেতাদের জানিয়ে দেন।
তিনি জানান, নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেছেন যে নুরাল পাগলের কবর মাটি সমতলে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মিছিল নয়, কেবল সমাবেশ হবে। তার বক্তব্য সরাসরি লাইভ আকারে প্রচারিত হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগতভাবে বিএনপির দুই গ্রুপের সঙ্গে এবং গোয়ালন্দ উপজেলা ঈমান আকিদাহ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে মিছিল হওয়ার বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না।
তিনি দাবি করেন, ঘটনাটির সঙ্গে তাকে জড়ানো ও প্রশ্নবিদ্ধ করা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার বক্তব্য সর্বসমক্ষে স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়েছে, সেখানে কোনো গোপনীয়তা ছিল না।
এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ কবর থেকে তুলে পোড়ানো মানবতার পরিপন্থী। জীবনে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা তিনি শোনেননি। কোনো মৃতদেহ পোড়ানো বা বাড়িঘর লুটপাট ইসলাম ও মানবতার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অন্যায়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় তিনি গভীরভাবে দুঃখিত ও মর্মাহত। একই সঙ্গে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের প্রতি তিনি ধিক্কার জানান। তার মতে, এমন অমানবিক কাজ গোয়ালন্দবাসীর ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি আহ্বান জানান, দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ডে সাহস না পায়।