প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৫
চট্টগ্রামে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসে পদদলিত এবং ব্রিজ ভেঙে দুইজন নিহত হয়েছে। এ সময় আরও ছয়জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের একটি ব্যস্ত এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ভোর থেকেই নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা মুরাদপুর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে জুলুসে অংশ নিতে আসতে শুরু করেন। সকাল ৯টায় আলমগীর খানকাহ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শোভাযাত্রার যাত্রা শুরু হয়। অংশগ্রহণকারীরা ‘ইয়া নবী সালাম আলাইকা, ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা’ দরুদ পাঠের মাধ্যমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি মুহাব্বত ও সম্মান প্রদর্শন করেন।
জুলুসে লাখো মানুষ অংশ নেন। এই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মা.জি.আ)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মা.জি.আ) এবং সৈয়্যদ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ্ (মা.জি.আ)।
জুলুস আয়োজন করে আনজুমান ট্রাস্ট, সহযোগিতায় ছিল গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। শরিয়ত সম্মত পরিবেশ বজায় রাখতে ড্রাম সেট বাজানো, নারীর অংশগ্রহণ এবং খাবার নিক্ষেপ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
চট্টগ্রাম নগরী পুরোপুরি বর্ণিল সাজে সেজে উঠেছে। বিভিন্ন মোড়ে তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন এবং পতাকা শোভা পাচ্ছে। অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছে এবং স্বেচ্ছাসেবীরা শরবত বিতরণ করছেন।
পুরো এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশও শোভাযাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুলুস চলাকালে ভিড় নিয়ন্ত্রণে কিছু অসুবিধা হয়। পদদলিত ও ব্রিজ ভেঙে দুজনের মৃত্যু ঘটে এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত পরিচালিত হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা চলছে। তারা মানুষকে সতর্ক থাকার এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।