প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৫২
নেপালে চলমান জনবিক্ষোভের সময় কাঠমান্ডুর দালু এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। এতে বাড়ির ভেতরে আটকে পড়েছিলেন তাঁর স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকর। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিক্ষোভের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগ। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে চলা জেন-জিদের নেতৃত্বে আন্দোলনের মুখে আজ মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই উত্তেজনার মধ্যেই Khanal পরিবারের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগুন লাগার সময় ঘরের মধ্যে রাজ্যলক্ষ্মী আটকা পড়েছিলেন। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসার পর তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার মাধ্যমে নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও গভীর হয়েছে।
একই সময় নেপালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং তাঁর স্ত্রী আরজু রানা দেউবারও ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো এক ভিডিওতে দেখা যায়, তারা রক্তাক্ত অবস্থায় জনতার হাতে ধরা পড়েছেন। ভিডিওতে একটি ভবনের বাইরে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে এবং জনস্রোতের ভিড়ের মধ্যে দুজনকেই ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তেজিত জনতা তাদের মারধর করেছে। দেউবা দম্পতির রক্তাক্ত অবস্থা ও আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ঘটনা দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে।
এদিকে নেপালের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারী জনতা সরকার ও পুরনো রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ভবনে আগুন লাগানো এবং ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের সহিংসতা দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিতে পারে এবং সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও এই পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে এবং নেপালের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
নেপালের নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তৎপর এবং বিভিন্ন আন্দোলনকারীরা নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।