প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি একজন শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে, যিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহপাঠী ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ ও গণধর্ষণের হুমকি প্রদান করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী আলী হুসেনকে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তটি প্রাপ্ত প্রক্টরিয়াল সত্যানুসন্ধান কমিটির সুপারিশের আলোকে নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডারের অধীনে এটি প্রক্টরের এখতিয়ারভুক্ত সর্বোচ্চ শাস্তি। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সদস্য।
ঘটনায় আক্রান্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক বি এম ফাহমিদা আলম। তাঁকে লক্ষ্য করে করা কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করে।
আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, আলী হুসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ যৌন-নিপীড়ন বিষয়ক কমিটিতেও প্রেরণ করা হয়েছে। কমিটি ঘটনা সম্পর্কিত বিস্তারিত অনুসন্ধান করবে এবং প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ সুপারিশ করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের নিরাপদ এবং সম্মানজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া মনোভাব প্রকাশ করছে এবং পুনরায় এ ধরনের অনৈতিক আচরণ রোধের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করছে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত এবং কঠোর পদক্ষেপ নেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও শিক্ষামূলক পরিবেশ বজায় রাখার গুরুত্ব পুনরায়浮 উঠেছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ছয় মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে থাকলেও, তার ভবিষ্যতের জন্য নির্ধারিত অন্যান্য প্রক্রিয়া যৌন-নিপীড়ন কমিটির রিপোর্ট এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন রাখতে বিভিন্ন বার্তা এবং নির্দেশিকা জারি করেছে।
উক্ত ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের নৈতিক দায়বদ্ধতার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল শিক্ষার্থীকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য বা হুমকি-ধমকির জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।