মুন্সীগঞ্জের ডিসি করোনা পজেটিভ
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের (৪৫) করোনা শনাক্ত হয়েছে। রবিবার বিকালে রিপোর্ট পাওয়ার পর তিনি সরকারি বাসভবনে আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে তার শরীরে করোনা উপসর্গ তেমন নেই বলে জানান সংশ্লিস্টরা। প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তাসহ এদিন ৩৭টি নমুনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন পুরনো রোগী রয়েছেন।
সূত্র জানায়, মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খান মো. নাজমুস সোয়েব করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আগেই। সেজন্য তার সংস্পর্শে থাকা প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। গত ১৪ মে নমুনা পরীক্ষার জন্য নিপসম-এ পাঠানো হলে রবিবার ফলাফল জানা গেছে। তাতে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ছাড়াও শনাক্ত হয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এস এম শফিক (৪২)। তারা দুজনই সরকারি বাসভবনে আইসোলেশনে রয়েছেন।
জেলা প্রাশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে চলেছেন। কর্মহীন দরিদ্র মানুষের কাছে যথাযথভাবে মানবিক সহায়তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি বেদে সম্প্রদায়সহ তৃণমূল মানুষকে মানবিক সহায়তা পৌছাতে সরেজমিন বিভিন্ন এলাকায় যান। করোনা শনাক্তের পর তিনি বলেন, ‘কোনরকম উপসর্গ এখনও দেখা যায়নি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন।’
সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, রবিবার মোট ২৩৪ টি নমুনার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে ৩৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এরমধ্যে সিরাজদিখানের দুজন রোগীর ফলোআপ রিপোর্ট রয়েছে। অন্যান্য উপজেলায় আলোআপ আছে কিনা খোঁজ নেয়া হচ্ছে। প্রাপ্ত রিপোর্টে শ্রীনগর উপজেলায় তিনজন, গজারিয়ায় উপজেলায় ছয়জন, সিরাজদিখান উপজেলায় পাঁচজন, টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় পাঁচজন, লৌহজং উপজেলায় তিনজন ও সদর উপজেলায় ১৩ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ শ’। তবে কতোজনের ফলোআপ রিপোর্ট রয়েছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে জেলায় ইতিমধ্যে ৫৩ জন করোনা জয় করেছেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।