প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১১:৬
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ইরান দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের একটি অত্যাধুনিক হার্মেস-৯০০ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি জানায়, মধ্যাঞ্চলে আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী এই ড্রোন শনাক্ত করে ধ্বংস করে। ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েল ড্রোনটি হারানোর ঘটনা গোপন রেখেছে।
রোববার রাতে ইসরায়েল জানিয়েছিল যে, তারা ইরানের একটি গ্রাউন্ড টু এয়ার মিসাইল লঞ্চার লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে এবং সফলভাবে বিমানগুলো ফিরিয়ে এনেছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ইরান জানায়, তারা একটি আক্রমণ ও নজরদারিতে সক্ষম ড্রোন ভূপাতিত করেছে, যেটি হার্মেস-৯০০ মডেলের বলে শনাক্ত হয়েছে।
হার্মেস-৯০০ ড্রোনটি উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন ও দীর্ঘ পরিসরের নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একসঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এমন একটি ড্রোন ধ্বংস হওয়া ইসরায়েলের জন্য কৌশলগতভাবে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত ১৩ জুন থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ধারা চলমান। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই হামলাগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালিত হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অভিযানে ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক বাংকার লক্ষ্য করে বাংকার বাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ইরান জানিয়েছে, তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করবে না এবং ফোরদো থেকে ইউরেনিয়াম নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, হামলার পর আশপাশের এলাকায় কোনো বিকিরণ বৃদ্ধির প্রমাণ মেলেনি, তবে পরিস্থিতি নজরে রাখা হচ্ছে।
চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের এই ড্রোন ভূপাতিতের দাবি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সামরিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এই অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।