প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:২৯
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার কয়েক ঘণ্টা বৈঠকে বসেন। বৈঠকের পর উভয় নেতা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন এবং বৈঠককে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, তারা বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়েছেন, তবে কিছু বড় ইস্যুতে একমত হতে না পারায় কোনো চুক্তি হয়নি। তিনি বলেন, বৈঠকের আলোচনায় রাশিয়ার পক্ষের চাহিদা অনুযায়ী ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড দিতে হতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিশ্চিত করা হবে।
ট্রাম্প ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকারে জানান, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উভয় দেশের পাশাপাশি ইউক্রেনকেও ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, “আমি মনে করি আমরা যুদ্ধের শেষের খুব কাছে। ইউক্রেনকে এটি মেনে নিতে হবে।”
এ সময় ট্রাম্প পুতিনকে ‘শক্তিশালী ব্যক্তি’ এবং ‘কঠোর’ হিসেবে অভিহিত করেন। তবে বৈঠককে উষ্ণ এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরও জানান, অনেক বিষয়ে তারা ইতিমধ্যে সমঝোতায় পৌঁছেছেন।
ট্রাম্পের মতে, যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার চাহিদাগুলো বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “আমরা এসব নিয়ে আলোচনা করেছি এবং বেশিরভাগ বিষয়েই একমত হয়েছি।” তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছায়নি।
সংবাদ সম্মেলনের পর ট্রাম্প রাশিয়ার সাথে ভবিষ্যতে আরও আলোচনা চালানোর ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, বৈঠক প্রাথমিক পর্যায়ের হলেও এটি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করতে পারে।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি যুদ্ধ বন্ধের জন্য সরাসরি চুক্তি করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “জেলেনস্কিকে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি করতে হবে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বৈঠকটি ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত সমাধানে প্রথম ধাপ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে চূড়ান্ত চুক্তি না হওয়ায় পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নজর এ বিষয়ে সর্তক।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ ও শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হলেও তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হওয়া এখনো দূরদর্শী প্রক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।