প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৮
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে তিনি ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’-এর পরিবর্তে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ নাম চালু করার সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেন।
ট্রাম্প বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ নামটি অনেক বেশি উপযুক্ত। তার মতে, ‘ডিফেন্স’ শব্দটি শুনতে অতিরিক্ত প্রগতিশীল বা দুর্বল মনে হয়, যেখানে আমেরিকার সামরিক ইতিহাস ও অবস্থানের সঙ্গে ‘ওয়ার’ শব্দটিই মানানসই।
এই সিদ্ধান্তের পর কংগ্রেসে তার ঘনিষ্ঠ কিছু সমর্থক নতুন আইন প্রস্তাব এনেছেন। কারণ মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী কোনো ফেডারেল দপ্তরের নাম পরিবর্তন করতে হলে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন। আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্প বিকল্প নামে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।
ফ্লোরিডার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এবং সাবেক সেনা সদস্য গ্রেগ স্টিউবে এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ১৭৮৯ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত মার্কিন সেনারা ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’-এর অধীনে যুদ্ধ করেছে। তাদের ঐতিহাসিক অবদানকে সম্মান জানাতে এই নাম পুনঃপ্রবর্তনই সঠিক পদক্ষেপ।
সেনেটর রিক স্কট ও মাইক লি একই ধরনের আইন প্রস্তাব সিনেটে উত্থাপন করেছেন। তাদের মতে, নাম পরিবর্তন শুধু প্রতীকী নয়, বরং আমেরিকার সামরিক শক্তি ও ঐতিহ্যকে পুনরায় তুলে ধরবে।
প্রসঙ্গত, ১৭৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান নতুন আইনের মাধ্যমে এর নাম পরিবর্তন করে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’ রাখেন এবং সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে এর অধীনে একত্রিত করেন।
পেন্টাগনের প্রধান পিট হেগসেথ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নাম পরিবর্তনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বড় যুদ্ধ জিততে পারেনি। কেবল প্রতিরক্ষামুখী অবস্থান নয়, আক্রমণেও যাওয়ার জন্য এ পরিবর্তন জরুরি।
ট্রাম্প এর আগেও বেশ কয়েকবার নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তার দাবি, যখন এর নাম ছিল ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’, তখন আমেরিকা একের পর এক বড় জয় পেয়েছে। কিন্তু নাম বদলের পর থেকে সেই জয়গাঁথা কমে গেছে। তার মতে, জনগণ ও কংগ্রেসও এই পরিবর্তনকে শেষ পর্যন্ত সমর্থন দেবে।