প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০:৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
নেপালে চলমান সহিংসতা ও অস্থিরতা মোকাবিলায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাত ১০টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সেনাবাহিনীসহ সব নিরাপত্তা বাহিনী মাঠে নামবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু গোষ্ঠী চলমান অস্থির পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষ ও সরকারি সম্পত্তির ওপর ব্যাপক ক্ষতি করছে। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে তারা জড়িয়ে পড়েছে। এমন কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে আবারও অনুরোধ জানানো হলেও প্রয়োজন হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাজারাম বসনেত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, রাত ১০টার পর থেকে জনগণ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব বাহিনী একযোগে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায়ভার অবৈধ কার্যকলাপে জড়িতদের ওপর বর্তাবে বলেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে।
এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে লুট করা অস্ত্র দ্রুত ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, রাত ১০টার মধ্যে এসব অস্ত্র ফেরত না দিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে মুখপাত্র বসনেত জানান, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার মতো কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি চলমান জেনারেশন-জেড আন্দোলনে যুক্ত তরুণদের শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। তার মতে, সহিংসতা ও সংঘাত কোনো সমাধান নয়, বরং আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট নিরসন সম্ভব।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাবাহিনীর এমন কঠোর সতর্কবার্তা নেপালের বর্তমান সংকটকে নতুন মোড়ে নিতে পারে। কারণ তরুণদের নেতৃত্বাধীন এ আন্দোলন দ্রুত বিস্তার লাভ করছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়ছে।
নেপালের জনগণের মধ্যে এ মুহূর্তে এক ধরনের ভীতি ও অনিশ্চয়তা কাজ করছে। অনেকে সেনাবাহিনীর কঠোর হুঁশিয়ারিকে স্বাগত জানালেও, কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এটি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।
সামাজিক বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, যদি তরুণদের দাবির বিষয়ে সরকার সংলাপের উদ্যোগ না নেয়, তবে কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাবে। তবে সেনাবাহিনী বলেছে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জনগণের সুরক্ষায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।