প্রকাশ: ৭ আগস্ট ২০২৫, ১৮:১৭
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় আরেক আসামি আদনান বিন আব্দুল্লাহ চৌধুরীকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এই আদেশ দেন।
সুমাইয়া ও আদনানকে এদিন আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। শুনানিতে তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন জানান। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সুমাইয়ার পাঁচ দিন এবং আদনানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সুমাইয়া জাফরিনকে আটক করে এবং পরবর্তীতে তাকে ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গোপনে গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল, যার সঙ্গে সুমাইয়া সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, প্রশিক্ষণের কার্যক্রমে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের আলামত পাওয়া গেছে। সুমাইয়া জাফরিনের বিরুদ্ধে এসব কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রমাণ অনুসন্ধান চলছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে গোয়েন্দা বিভাগ।
আদনান বিন আব্দুল্লাহ চৌধুরীর রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তার কাছ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে পুলিশ। গোপন প্রশিক্ষণের নেটওয়ার্ক, অর্থায়ন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের খোঁজে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে।
রিমান্ডের আদেশের পর আসামিদের ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।
গোয়েন্দা সংস্থার ভাষ্যমতে, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। তাই বিষয়টি নিয়ে সরকার ও প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।