প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪৪
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুতি শুরু করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বুধবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন থেকেই সক্রিয়ভাবে নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আশা করা হচ্ছে শিগগিরই সেই চিঠি এসে পৌঁছাবে।
সিইসি আরও বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন কঠোর পরিশ্রম করবে। ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পর্যন্ত প্রস্তুতিতে কোনো ধরনের বিরতি দেবে না।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দেন যে, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আয়োজনের জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানাবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে একটি চিঠি পাঠানো হবে যাতে রমজানের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন পূর্ব থেকে আরো বেশি গতিশীল হয়ে উঠেছে। দেশের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশায় নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যস্ত রয়েছে। নির্বাচন কমিশনাররা জানান, নির্বাচন কমিশনের সব ইউনিট নিয়মিত কর্মসূচির পাশাপাশি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রস্তুতিতে জোর দিচ্ছে।
নির্বাচনের সুষ্ঠু ও সফল আয়োজন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করতেও প্রস্তুত। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রেখে নির্বাচন কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণও আশা করছে, এই নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ, অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক, যা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আগামী নির্বাচন দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরো মজবুত হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।