প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৭
বিগত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইসির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জেলা প্রশাসকদের কাছে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্যক্তিগত তথ্য পিবিআই-এর তদন্ত কাজে প্রয়োজন।
ইসি সূত্র জানায়, এর আগে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তথ্য পিবিআই-এর কাছে পাঠানো হয়েছে। এবার যুক্ত করা হয়েছে মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকাও। তথ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে কর্মকর্তার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর এবং মোবাইল নম্বর।
ইসির এই চিঠি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারসহ দেশের সকল জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব তথ্য শেরেবাংলা নগর থানার একটি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি কর্মকর্তারা জানান, মামলার তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে পিবিআই প্রয়োজনীয় তথ্য চাইলে কমিশন দায়িত্বশীলতা বজায় রেখে তথ্য সরবরাহ করে থাকে। তবে তথ্য ব্যবহারে যেন কারো ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘিত না হয়, সে বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের সময় মাঠপর্যায়ে কাজ করা ম্যাজিস্ট্রেটরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের তথ্য তদন্তের আওতায় আনা হলে স্বচ্ছতা বজায় রাখা সম্ভব হবে। তবে এতে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এর আগে পিবিআই ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের তথ্য চেয়েছিল। এবার যুক্ত হলো ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা। এখন প্রশাসনের দায়িত্ব এসব তথ্য নির্ভুলভাবে পাঠানো।
তথ্য সংগ্রহ শেষে তা ইসির মাধ্যমে পিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এখন দেখার বিষয়, তদন্তে এসব তথ্য কীভাবে প্রভাব ফেলবে এবং আদৌ কোনো নতুন দিক উন্মোচিত হয় কি না।