প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ১৭:১৯
সরকার বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি এবং পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭৬ জন কর্মকর্তাকে রদবদল করেছে। বুধবার (৬ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে এসব কর্মকর্তাকে নতুন কর্মস্থলে পাঠানো হয়েছে, যারা এতদিন বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
রদবদলকৃত কর্মকর্তাদের মধ্যে ১০ জন ডিআইজি, ৪৬ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ১২ জন পুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত এবং ৭ জন পুলিশ সুপার মর্যাদার কর্মকর্তারা রয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর এসব কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল, যা এই রদবদলের মাধ্যমে পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে।
রদবদল হওয়া ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে শাহ্ মিজান শাফিউর রহমান এবং নুরুল ইসলাম, যাদের রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, মনিরুজ্জামান এবং ইলিয়াস শরীফ সিলেট রেঞ্জে যোগদান করবেন। চট্টগ্রাম রেঞ্জের জন্য বদলি হয়েছেন জাকির হোসেন খান, মোহাম্মদ শাহ আবিদ হোসেন এবং জিহাদুল কবির। খুলনা রেঞ্জে গেছেন মাহবুবুর রহমান। সারদা রেঞ্জে বদলি হয়েছেন মঈনুল হক এবং মোস্তাক আহমেদ খান।
সরকারি সূত্রের মতে, এই রদবদলের উদ্দেশ্য হলো পুলিশ প্রশাসনের কার্যকারিতা বাড়ানো এবং বিভাগীয় সমন্বয় উন্নত করা। এ পদক্ষেপে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের প্রাসঙ্গিক জায়গায় নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে স্বচ্ছ ও ফলপ্রসূ পুলিশিং নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
গত আগস্টে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করা এই কর্মকর্তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ওএসডি রাখা হয়। এই নতুন বদলির মাধ্যমে তাদের যথাস্থানে পুনর্বহাল করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন কর্মস্থলে যোগদান করে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।
এছাড়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতর এই রদবদল নিয়ে কড়া নজর রাখছে এবং কর্মকর্তাদের নতুন দায়িত্বে দ্রুত মানিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদান শুরু করেছেন।
এই রদবদল বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং জনসেবার মান উন্নত করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের আধিকারিকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এই পরিবর্তনের ফলে তাদের কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং জনগণের কাছে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উন্নত হবে।