প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৭
আগামী ১১ থেকে ১৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়া সফর করবেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি (পিডি) শাহ আসিফ রহমান রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সফরের বিস্তারিত তথ্য জানান। তিনি উল্লেখ করেন, এই সফরে দুই দেশের মধ্যে হালাল ইকোসিস্টেম, উচ্চ শিক্ষা ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি নোট বিনিময় করা হবে।
সফরের প্রথম দিন মালয়েশিয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হবে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে স্বাগত জানাবেন। পরের দিন, ১২ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের পর দুই দেশের সরকার প্রধানদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং স্মারক সমঝোতা স্বাক্ষরিত হবে। একই দিনে প্রধান উপদেষ্টা একটি ব্যবসায়িক ফোরামে অংশগ্রহণ করবেন এবং মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি উচ্চ প্রতিনিধি দলও মালয়েশিয়া সফর করবে, যার মধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, বিডার চেয়ারম্যান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন।
তৃতীয় দিনে ইউনিভার্সিটি কেবাঙ্গাসান মালয়েশিয়ার চ্যান্সেলর ও নেগেরি সেম বিলান প্রদেশের রাজা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও তিনি ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, জ্বালানি সহযোগিতা, হালাল অর্থনীতি, সেমিকন্ডাক্টর শিল্প, কৃষি, শিক্ষা ও পিপল টু পিপল যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া বাংলাদেশের আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়া এবং রিজিওনাল কম্প্রিহেন্সিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) অ্যাগ্রিমেন্টে যোগদানের জন্য আবেদন জোরদার করা হবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মালয়েশিয়াসহ আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সক্রিয় ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানানো হবে।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই সফরের গুরুত্ব অপরিসীম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশাবাদী, এই সফর দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও গভীর ও শক্তিশালী করবে।